(বাঁ দিকে) নন্দীগ্রাম থানা এবং নতুন প্রসেনজিৎ দত্ত (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
এক মাসও হয়নি। নন্দীগ্রাম থানায় আবারও আইসি বদল। এ বার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রসেনজিৎ দত্ত নামে এক ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে। গত ২৭ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের আইসি পদে আনা হয়েছিল তুহিন বিশ্বাসকে। অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে তাঁকে ওই পদে আনা হয়। এ বার তাঁকে সরিয়ে আনা হয়েছে প্রসেনজিৎকে। সেই সঙ্গে রাজ্যের আরও চার পুলিশ আধিকারিকের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।
মঙ্গলবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে প্রসেনজিতের বদলির নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। নন্দীগ্রাম থানার সদ্য প্রাক্তন ইনচার্জ তুহিনকে কোথায় পাঠানো হয়েছে, তা জানানো হয়নি। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার ডোমকলের সার্কল ইনস্পেক্টর করা হয়েছে তাপস কুমার দাসকে। তিনি বারুইপুরের কোর্ট ইনস্পেক্টর ছিলেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার নাকাশিপাড়ার সার্কল ইনস্পেক্টর হয়েছেন মহম্মদ মহিউল ইসলাম। তিনি ছিলেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানার আইসি। হাওড়া পুলিশের নিশ্চিন্দা থানার আইসি করা হয়েছে সুদীপ্ত পানিগ্রাহী। তিনি হাওড়া কমিশনারেটের ইনস্পেক্টর ছিলেন। হাওড়ারই সাঁতরাগাছি থানার আইসি হয়েছেন জামাল হোসেন। হাওড়া কমিশনারেটেই ইনস্পেক্টর ছিলেন তিনি।
গত বছরের শেষে এক মাসের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হন। বিজেপির ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই আবহে বছরের শেষে আইসি বদল করা হয়। তুহিনকে বসানো হয়। তুহিন পদমর্যাদায় ডিএসপি র্যাঙ্কের আধিকারিক। বস্তুত, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার নানা পদে নন্দীগ্রাম থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। এই বদলি নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হলেও জেলা পুলিশ একে রুটিন বদলি বলে। এ বার এক মাস যেতে না যেতে ফের রদবদল। নন্দীগ্রাম থানার নতুন ওসি প্রসেনজিৎ কয়েক দিন ছিলেন আসানসোলে। তার আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মঙ্গলকোট এবং ভাতার থানার দায়িত্ব সামলেচ্ছেন।