Jail

জেলে আসছে না পাঁঠা, ভরসা মুরগি 

বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলে পাঁঠার জোগান অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সপ্তাহে বন্দিদের পাতে মাংস না দিলে তো  চলবে না।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাঁদের জীবনচর্চা লৌহ কপাটের আড়ালে। বহির্জগতের মতো কোভিড-১৯-এর প্রভাব পড়েছে জেল বাসিন্দাদের জীবনেও। খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। লকডাউনের কারণে জোগানে টান পড়ায় একদা পাত থেকে উধাও হচ্ছিল আমিষ পদ। স্থান পূরণ করেছিল নিরামিষ। এখন আর আমিষে টান নেই। কিন্তু সময় মতো মিলছে না পাঁঠা। তাই মুরগিই এখন ভরসা বিভিন্ন জেল কর্তৃপক্ষের। নিয়ম অনুসারে, সপ্তাহে তিনদিন নিরামিষ খাবার পড়বে বন্দিদের পাতে। আর একদিন মাছ, একদিন ডিম, একদিন সয়াবিন বরাদ্দ থাকে কারাবাসীদের। আর একদিন থাকে পাঁঠার মাংস (মটন)। এভাবেই আমিষ-নিরামিষের মেলবন্ধন হয় বন্দিদের খাদ্যতালিকায়। তবে সপ্তাহে কোন দিন কি খাবার দেওয়া হবে, তা স্থির করেন সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষ। বন্দিদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাবারের পরিমাপ ও গুণগত মান স্থির করে কারা দফতর। সেই অনুসারে, কারাবাসীদের জন্য ভোরবেলায় রান্না চাপে। বন্দিদের উপর হেঁশেল সামলানোর দায়িত্ব থাকে। তত্ত্বাবধানে থাকেন জেলের কর্মী-আধিকারিকরা। উৎসবে তো বটেই, বিশেষ দিনেও জেলের খাদ্যতালিকায় বদল হয়।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলে পাঁঠার জোগান অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু সপ্তাহে বন্দিদের পাতে মাংস না দিলে তো চলবে না। কারণ, কারাবাসীদের স্বাস্থ্যের কারণে তাঁদের খাদ্যতালিকায় প্রতি সপ্তাহে মাংস দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই অগত্যা ভরসা মুরগির মাংস (চিকেন)। তা দিয়ে পাত ভরানো হচ্ছে বন্দিদের। ঘটনাচক্রে, দিন কয়েক আগে একটি জেলে একসঙ্গে কর্মী-আধিকারিকরাও চিকেন সহযোগে খাওয়াদাওয়া করেছেন। ছিলেন এক পদস্থ কর্তাও। তবে সেখানে বন্দিরা ছিলেন না বলে সূত্রের দাবি।

বন্দিদের ডায়েট অনুসারে তো মুরগির মাংস দেওয়ার কথা নয়। তাহলে কেন তা বন্দিদের দেওয়া হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘পাঁঠা আসছে না। তা তো আর তৈরি করা যাবে না। মুরগির জোগান আছে। তাই মাংসের অভ্যাস বজায় রাখার জন্যই চিকেন দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

তবে অনেক জেলের কর্মী-আধিকারিকদের মতে, মুরগির মাংস তো ব্যবহার হয়। প্রচুর মানুষই তা খান। তা হলে জেলের বাসিন্দাদের দিতে অসুবিধা কোথায়? সে প্রশ্নই তুলছেন তাঁরা। বরং চিকেন দিলে খাদ্যতালিকায় আরও একদিন মাংস যোগ করা যাবে। তার জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ও হবে না সরকারের। অথচ, এক দিন বাড়তি মাংসের সুযোগ পাবেন বন্দিরা। যদিও কারাকর্তাদের মতে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এক ব্যাপার। আর তা পাকাপাকি বাস্তবায়ন ভিন্ন ব্যাপার। ফলে এ নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ কারা কর্তারা। তাঁদের মতে, ‘‘সংশোধনাগারের আবাসিকদের কথা মাথায় রেখে পরিস্থিতি অনুসারে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও দরকার হলে নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement