বেলা ৩টে থেকে ছ’টি ওয়েবসাইটে ফল জানা যাবে বলে ঘোষণা করেছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। কিন্তু সাইট-বিভ্রাটে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ফল জানতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হলেন ছাত্রছাত্রীরা। নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পরেও বোর্ডের ওয়েবসাইট খোলা যায়নি বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ।
শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে জয়েন্টের ফল প্রকাশ করেন জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত। তখনই তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা বেলা ৩টে থেকেই ওয়েবসাইটে নিজেদের নম্বর জানতে পারবেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। এমনকী মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যায়নি বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
এই অবস্থা হল কেন?
ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘একসঙ্গে অনেকেই ওয়েবসাইট খোলার চেষ্টা করেন। তাই অসুবিধা হয়েছে। কিছু পরেই অবশ্য তা ঠিকও হয়ে যায়।’’
বোর্ড জানিয়েছে, এ বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ছিল এক লক্ষ পাঁচ হাজার ৮১। তার মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৮২ জন। মেডিক্যালে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৬২ হাজার ৬৪০ জন। তাঁদের
মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন ৫৭৯৩ জন। ফার্মাসিতে মোট এক লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক লক্ষ ১৩ হাজার ১৯৮
জন সুযোগ পাচ্ছেন কাউন্সেলিংয়ে। তবে কাউন্সেলিংয়ের তারিখ
এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম হয়েছেন এ বারের আইএসসি-তে ভারতসেরা, কলকাতার অর্ক চট্টোপাধ্যায়। আর মেডিক্যালে প্রথম হয়েছেন দমদমের শুভাশিস সাহা। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল দুই ক্ষেত্রেই গত বারের থেকে পাশের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান বোর্ড-প্রধান ভাস্করবাবু।