CPM leader harassed

রাস্তায় ফেলে জুতোপেটা বৃদ্ধকে, ছিঁড়ে দেওয়া হল জামাও! ভাইরাল ভিডিয়োয় বিতর্কে তৃণমূলের ‘নেত্রী’

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুরের খরিদা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অনিল দাসকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী বেবি কোলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৪:০৮
Share:

প্রবীণ সিপিএম নেতাকে মার তৃণমূলের ‘নেত্রী’র। ছবি: ভিডিয়ো।

‘প্রতিবাদ করায়’ এক বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার। চড়-লাথি-ঘুষির সঙ্গে জুতোপেটাও। শুধু তা-ই নয়, বৃদ্ধের চোখেমুখে রং মাখিয়ে তাঁর জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দিলেন তৃণমূলের এক ‘নেত্রী’! ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে বিতর্কে শাসকদল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার ডট কম যাচাই করেনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়্গপুরের খরিদা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অনিল দাসকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী বেবি কোলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজেকে বাঁচাতে একটি রঙের দোকানে ঢুকে গিয়েছিলেন অনিল। তাঁকে সেখান থেকে বার করে এনে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বৃদ্ধের গায়ে রং ঢেলে তাঁকে জুতোপেটা করছেন এক মহিলা। বৃদ্ধ কোনও রকম উঠে সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁকে আবার রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলতে মারধর।

এই ঘটনার পরেই স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে খড়্গপুর টাউন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিল। তিনি ‘আমরা বামপন্থী’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে স্থানীয় এক মহিলার শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম অভিযোগ জানাতে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি বলেই আমার উপর হামলা হল।’’ এই ঘটনায় শাসক তৃণমূলকে বিঁধে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁর উপর এ ভাবে আক্রমণ হচ্ছে। চারদিকে এ ভাবেই ওরা বিরোধীদের মারছে। তৃণমূল জমানায় কেউই সুরক্ষিত নয়।’’

Advertisement

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা, খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘বেবি কোলে আমাদের দলের লোক। তবে উনি এখন কোন পদে রয়েছেন, তা জানি না। পুলিশকে বলব অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে।’’ ঘটনার পর আনন্দবাজার ডট কমের তরফে বেবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement