—প্রতীকী চিত্র।
বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে সোনা কেনার টোপ দিয়ে ডাকার পরে ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই বন্ধুর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে অভিযোগ মারধরের। পঞ্চসায়রে ‘প্রতারণা’-র অভিযোগের তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কম দামে সোনা কেনার জন্য বন্ধু রাজু সরকারকে নিয়ে পঞ্চসায়র মাঠে গিয়েছিলেন আকাশ গুপ্ত। অভিযোগ, সেই সময় একটি সাদা রঙের স্করপিয়ো গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে আসেন বেশ কয়েক জন। আকাশ ও রাজুকে তাঁরা পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তাঁদের গাড়িতে তুলে নিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। সেই সঙ্গে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। ভয় পেয়ে আকাশ পালিয়ে যান। দুষ্কৃতীরা গাড়িতে করে ইএম বাইপাস সংলগ্ন অজয়নগরের কাছে এসে তাঁর বন্ধু রাজুর মোবাইল ও ঘড়ি কেড়ে নিয়ে তাঁকে সেখানেই নামিয়ে দেন।
পঞ্চসায়র থানা সূত্রে খবর, আকাশ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও গাড়ির নম্বর দিতে পারেননি। অভিযোগকারীদের দাবি ছিল, সস্তায় সোনা কেনার টোপ দেওয়া ও ভুয়ো পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা একই প্রতারণা চক্রের। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ গড়িটির নম্বর চিহ্নিত করে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড় থেকে ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে গাড়ির চালক সোমনাথ চক্রবর্তীকেও গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার পুলিশ অভিযান চালায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার নূর ইসলাম মোল্লা বলে এক জনের বাড়িতে। তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় ৩০ হাজার টাকা। পুলিশের দাবি, ওই টাকা লুট হওয়া টাকারই অংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরকে জেরা করা হলে সে স্বীকার করে নেয় যে বেশ কয়েকজন মিলে এই অপরাধ করেছে।