প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা থেকে কলকাতায় আসার পথে ব্যাগ থেকে দামি জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এক বিমানযাত্রী।
নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর শহরের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম নিশা প্রধান। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা কাতার এয়ারওয়েজের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বিমান সংস্থার তরফে নিশাকে বলা হয়েছে দিন কয়েক অপেক্ষা করতে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ঘটনাচক্রে ওই মহিলা নিজেও এক সময়ে একটি বিমান সংস্থায় কাজ করতেন। এখন মার্কিন মুলুকের এক ভ্রমণ সংস্থার কর্মী।
সোমবার ফোনে ডিমাপুর থেকে নিশা জানিয়েছেন, অরল্যান্ডোয় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে স্থানীয় এক বিমান সংস্থার উড়ানে নিউ ইয়র্কে এসে সেখান থেকে কাতারের উড়ান ধরেন। দোহা হয়ে রবিবার ভোরে কলকাতায় নামেন। নিশার দাবি, তাঁর সঙ্গে একটাই চেক-ইন ব্যাগ ছিল, যেটি অরল্যান্ডোতেই বিমানের পেটে চালান করে দিয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় নেমে দেখেন, সেই চেক-ইন ব্যাগের ভিতর থেকে দামি ঘড়ি, সুগন্ধী, জুতো, জ্যাকেট, প্রসাধন সামগ্রী-সহ অনেক কিছুই বার করে নেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় একটি সবুজ রঙের কামিজ পুরে দেওয়া হয়েছে।
নিশার কথায়, ‘‘আমার কাছে প্রমাণও আছে। এ সবই উপহার দেব বলে কিনেছিলাম। চেক-ইন ব্যাগের ওজন যতটা হওয়ার কথা, তার চেয়ে ছয় কিলোগ্রাম বেশি হয়ে মোট ২৯ কিলোগ্রাম ওজন হয়ে গিয়েছিল। অরল্যান্ডো বিমানবন্দরে এ কারণে আমাকে অতিরিক্ত টাকাও দিতে হয়েছে। তার রসিদও রয়েছে আমার কাছে। কলকাতায় এসে কাতার এয়ারওয়েজের অফিসারদের সামনে সেই ব্যাগ ওজন করে দেখা যায়, তা ১৯ কিলোগ্রাম হয়ে গিয়েছে!’’
রবিবার সকালেই কলকাতায় বিমান সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিশা উড়ে গিয়েছেন ডিমাপুর। জানিয়েছেন, ব্যাগ লক করা ছিল না। তাঁর দাবি, আমেরিকার বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা ব্যাগে তালা দিতে বারণ করেছিলেন তাঁকে।
কাতার এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, দোহা এবং কলকাতায় ব্যাগ ওঠানো-নামানোর সময় জিনিস সরানো হয়েছে কি না, জানতে ওই দুই বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হবে।