ডেঙ্গিতে ফের মহিলার মৃত্যু বিধাননগরে

শম্পাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার তাঁর জ্বর আসে। শনিবার তিনি স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখান। ওই ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৬
Share:

শম্পা গোমস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

বিধাননগর পুরসভার দাবি, মশাবাহিত রোগ, বিশেষ করে ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মৃত্যুর ঘটনাও আর ঘটছে না। পুরসভার এই দাবি যে ভুল, ফের তা প্রমাণ হয়ে গেল। চার দিন ধরে জ্বর ও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন বাগুইআটির পূর্ব নারায়ণতলার গৃহবধূ, বছর পঁয়ত্রিশের শম্পা গোমস্তা। সোমবার রাত ১টা ৪০ নাগাদ দক্ষিণ শহরতলির বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। শম্পাদেবীর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি লেখা রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন করে এই মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিধাননগর পুরসভা।

Advertisement

শম্পাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার তাঁর জ্বর আসে। শনিবার তিনি স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখান। ওই ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। শম্পাদেবীর এনএস-১ পজিটিভ ধরা পড়ে। রবিবার জ্বরের সঙ্গে বমি হতে থাকে, ডায়রিয়াও হয়। তাঁকে পরিজনেরা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় সোমবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ দক্ষিণ শহরতলির ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কিছু ক্ষণ পরে মৃত্যু হয় তাঁর।

পূর্ব নারায়ণতলায় বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তিন দিনের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফের কিছু জায়গায় জল জমায় এলাকার মানুষ ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ফের ওই জমা জলে ডেঙ্গির মশা বংশবিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভা কাজ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমার পরেই পুরসভা কাজে ঢিলে দিয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, মশা মারার তেল বা ব্লিচিং পাউডার নিয়মিত ছড়ানো হয়েছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মশাবাহিত রোগে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় কমেছে। শীতের মরসুমও প্রায় এসে গিয়েছে। তার মাঝে এই মৃত্যুর ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওই এলাকায় নতুন করে মশার দাপট বাড়ল কি না, দ্রুত তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’

জুন থেকে এখনও পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ছ’শতাধিক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পনেরো জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। যদিও এই পরিসংখ্যান মানতে রাজি নয় পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement