—ফাইল চিত্র।
মা উড়ালপুল এবং আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের পশ্চিমমুখী সংযোগকারী র্যাম্প চালু হলেই পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে মা উড়ালপুলে উঠতে পারবে গাড়ি। তবে পার্ক সার্কাস মোড় থেকে গাড়ি ওঠার ক্ষেত্রে থাকছে বিধিনিষেধ।
লালবাজার সূত্রের খবর, যানজটের কথা মাথায় রেখে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ দিয়ে গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ ফাঁড়ির দিক থেকে আসা গাড়িকেই পার্ক সার্কাস মোড় থেকে মা উড়ালপুল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। পার্ক স্ট্রিট বা সুরাবর্দি অ্যাভিনিউ দিয়ে আসা কোনও গাড়িকে এখনই পার্ক সার্কাস মোড় থেকে ওই উড়ালপুলে উঠতে দেওয়া হবে না। ওই সব গাড়ির চালককে দরগা রোড দিয়ে চার নম্বর ব্রিজ ব্যবহার করে উড়ালপুলের নিচে পার্ক সার্কাস কানেক্টার ধরে যেতে হবে। কাল, বৃহস্পতিবার মা উড়ালপুলের ওই র্যাম্প উদ্ধোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবস্থা চালু হলেও তার সুবিধে পাওয়া যাবে প্রতিদিন বিকেল তিনটে থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত। বাকি সময় অবশ্য এখনকার মতোই পার্ক সার্কাস দিয়ে কোনও গাড়িই মা উড়ালপুলে উঠবে না। তবে পার্ক সার্কাসে গাড়ি নামার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে ওই নতুন তৈরি হওয়া র্যাম্প ব্যবহার করে ইএম বাইপাস থেকে গাড়ি সোজা আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের উড়ালপুলে যেতে পারবে।
পুলিশের দাবি, কংগ্রেস এগজিবিশন রোডের উপর দিয়ে র্যাম্পটি তৈরি হলেও পার্ক সার্কাসের সাত মাথার দিক থেকে মা উড়ালপুলে দু’টি গাড়ি একসঙ্গে উঠতে পারবে না। এ ছাড়া সব গাড়ি ওই উড়ালপুল ধরার জন্য পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে হাজির হলে ওই এলাকায় যান চলাচল তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ট্র্যাফিক পুলিশের অনুমান, পার্ক সার্কাস মোড় থেকে সব রাস্তার গাড়ি মা উড়ালপুলে উঠতে দিলে সমস্যা হতে পারে। কারণ তাতে পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা কিংবা ভবানীপুর, এন্টালি, শিয়ালদহ-সহ মধ্য কলকাতার সব গাড়িই দ্রুত ইএম বাইপাস ধরতে ওই রাস্তায় এসে হাজির হবে। যা হয়েছিল মা উড়ালপুল উদ্বোধনের পরে। ওই সময় ট্র্যাফিকের অবস্থা সচল রাখতে দিনের ব্যস্ত সময়ে পার্ক সার্কাস থেকে কোনও গাড়িকে মা উড়ালপুল ধরতে দেওয়া হয় না।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘‘আপাতত ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যদি দেখা যায় গাড়ির চাপ কম রয়েছে সে ক্ষেত্রে পার্ক স্ট্রিটের গাড়িও উঠতে দেওয়া হবে মা উড়ালপুলে।’’
গত সপ্তাহেই ওই সংযোগকারী র্যাম্পের রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তা ঘুরে দেখেন। প্রায় ১ কিলোমিটার ওই সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করতে প্রায় দু’বছর লেগেছে।