Asha Workers

দাবি পূরণে রাজভবন অভিযানের ডাক আশা কর্মীদের

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাশ্রমিক নাম দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করানো হলেও কোনও মর্যাদা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রসূতি মা ও সদ্যোজাতকে পরিষেবা দেওয়াই তাঁদের কাজ। কিন্তু অভিযোগ, তা ছাড়াও বিভিন্ন কাজে তাঁদের পাঠানো হয়। তার সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার
কোনও যোগ থাকে না। করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁদের কাজ করতে হয়েছে। তা-ও দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ আশা কর্মীদের। সেই সব দাবি নিয়েই কাল শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন’।

Advertisement

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাশ্রমিক নাম দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করানো হলেও কোনও মর্যাদা নেই। এমনকি, স্বাস্থ্য ও রোজগারের সুরক্ষাও নেই। কেন্দ্রও বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। তাই রাজ্যপালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।’’ তিনি জানান, রাজ্যে প্রায় ৫৪ হাজার আশা কর্মী রয়েছেন। প্রতি মাসে রাজ্য দেয় সাড়ে চার হাজার টাকা। সঙ্গে যোগ হয় কাজ অনুযায়ী উৎসাহ ভাতা। সব মিলিয়ে মাসে ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা রোজগার হয়। অভিযোগ, প্রায়ই নানা অছিলায় উৎসাহ ভাতা কেটে নেওয়া হয়।

আশা কর্মীদের আরও অভিযোগ, তাঁদের টানা এক মাস স্থানীয় ব্লক বা মহকুমা হাসপাতালে ‘দিশা’ ডিউটি অর্থাৎ হেল্প ডেস্কে কাজ করতে হয়। তার জন্য যে দু’হাজার টাকা তাঁদের দেওয়া হয়, তাতে যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার খরচা কুলোয় না। এ ছাড়াও, পরীক্ষা কেন্দ্র বা জমায়েতেও তাঁদের পাঠানো হয় বলে দাবি ইসমতের। করোনার কাজের জন্য ছ’মাস ধরে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হলেও তা এখন বন্ধ।

Advertisement

তিনি জানান, আশা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়ে সেটিকে স্থায়ী ভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের আওতায় আনা, ইএসআই, পেনশন ও পিএফ-সহ ন্যূনতম বেতন ২১ হাজার টাকা করা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, কাজের সময় ও ছুটি নির্দিষ্ট করা-সহ মোট ১২ দফা দাবি তাঁরা জানাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন