নিউ গড়িয়ার এই বাড়ি থেকেই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
নিউ গড়িয়ায় বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। নিজের বাড়িতেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করেছে এবং তাঁর স্বামীকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্পত্তি হাতানোর লোভে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর গায়ের গয়না উধাও। তবে বাড়ির আর কিছু খোয়া গিয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চসায়রের নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভে এস৩২ কুলু ভিলায় থাকতেন থাকতেন বিজয়া দাস (৭৯) এবং তাঁর স্বামী প্রশান্ত দাস। তাঁদের কন্যা বিদেশে থাকেন। পুত্র থাকেন ভিন্রাজ্যে। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে দম্পতি ছাড়া আর কেউ থাকতেন না।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পরিচারিকা প্রতি দিনের মতো বাড়িতে গিয়ে কলিং বেল বাজিয়েছিলেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির কাছেই রয়েছে পঞ্চসায়র থানা। সেখান থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সিঁড়ির কাছ থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। সেই সময়ে অদূরে ঘরের ভিতর পড়ে ছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি এখনও আতঙ্কিত। তাঁকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর পরনে যে সমস্ত গয়না ছিল, তা গায়েব হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া, বাড়ির সিসিটিভি এবং বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
বাড়ির একতলায় থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাড়ির পিছনের দিকের দরজাটিও খোলা ছিল। সেখান দিয়ে দম্পতি যাতায়াত করতেন। হত্যাকারী সেখান দিয়ে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিচারিকা ছাড়াও ওই বাড়িতে সম্প্রতি বৃদ্ধের দেখাশোনার জন্য একজন আয়াকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পূর্ব ডিভিশনের ডিসি। গোয়েন্দারাও রয়েছেন।
নিউ গড়িয়ার এই বাড়ির পাশে রয়েছে একটি বৃদ্ধাশ্রম। গোটা ঘটনায় সেখানকার আবাসিকেরা আতঙ্কিত। বলছেন, ‘‘এত কিছু ঘটে গেল, রাতে তো কোনও শব্দ পেলাম না! কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। আমরা স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ে আছি।’’