একবালপুরের বিচারাধীন বন্দি ফারদিন খানের দেহে কী করে আঘাতের চিহ্ন মিলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওই বন্দির মৃত্যুতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের যে তদন্ত চলছে, তাতে প্রয়োজনে ফের ফারদিনের দেহের ময়নাতদন্ত করা যেতে পারে।
১৮ ডিসেম্বর রাতে এসএসকেএমে মৃত্যু হয় ফারদিনের। প্রথমে পুলিশ হেফাজত, পরে জেল হেফাজতে থাকা ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সরকারি কৌঁসুলি শাক্য সেনের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘‘এসএসকেএমের চিকিৎসক ওই বন্দিকে পরীক্ষা করার সময়ে আঘাতের চিহ্ন পাননি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন মিলল কী ভাবে?’’
সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে। তা শেষ হয়নি। সব দিকই দেখা হচ্ছে। এ দিকে, ফারদিনের পরিবারের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে জানান, বন্দি-মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। লালবাজারের কোনও কর্তা তাঁর অধস্তন কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করলে, তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
বিচারপতি দত্ত দু’পক্ষের সওয়াল শুনে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশি তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, ৪ জানুয়ারির মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ জানুয়ারি।