প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশের ১২ জন কর্মী নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাঁরা সকলেই কলকাতা পুলিশের কমব্যাট এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য। কনস্টেবল পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্মীরা কলকাতার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ব্যারাকে থাকতেন। মঙ্গলবার তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পরেই ওই পুলিশকর্মীদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের বাহিনীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮। এর মধ্যে ২০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন।
এ দিনই আবার বেলেঘাটা থানার ওসি-র সপরিবার করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, তিনি গিরিশ পার্ক এলাকার বাসিন্দা। উপসর্গ থাকায় সোমবার তাঁর স্ত্রীর করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় ওসি, তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং বৃদ্ধ বাবারও করোনা পরীক্ষা করা হয়। ওসি এবং তাঁর ছেলে-মেয়ের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁর বাবার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারই হাওড়ার বাসিন্দা সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের এক আধিকারিকেরও করোনা ধরা পড়েছে। তিনিও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর গাড়ির চালক এবং রক্ষীরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার গিরিশ পার্ক থানার এক সাব ইনস্পেক্টরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার রাতেই কলকাতা পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল ছাড়াও শহরের তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে সকলেরই চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। এত দিন পুলিশের আধিকারিকেরা ছাড়া কেউ ওই সুবিধা পেতেন না। নিচুতলার কর্মীদের বেশির ভাগ সময়ই এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হত।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের পুরনো টার্মিনালই কোয়রান্টিন কেন্দ্র
পিটিএসে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে পুলিশকর্মীদের অনেককেই কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাহিনীর লোকজন।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, মঙ্গলবার সকালে পিটিএসের যাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তাঁদের সংস্পর্শে আসা সকলেরই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অনেকের লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট এলে বাকিদের জন্যও একই ব্যবস্থা করা হবে। এ দিনই কয়েক জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ দিন যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক আধিকারিকের গাড়িচালকও রয়েছেন। ঝড়ের পরের দিন থেকে ওই বাহিনীর লোকজন রাস্তায় নেমে গাছ কাটার কাজ করেছিলেন। গত কয়েক দিন অসুস্থ থাকায় সোমবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাড়ছে সরকারি বাস, আজ থেকে পথে অটোও
সোমবার রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটের আধিকারিকদের মেসেজ করে বলছেন, সদস্যেরা যেন করোনার বিরুদ্ধে সব রকম সুরক্ষা নেন।