প্রতীকী ছবি
দেরিতে হলেও চেতনা ফিরল হাওড়া পুরসভার। কলকাতার পরে এ বার করোনা-আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করলেন হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীরা। এ জন্য রবিবার থেকেই পুরসভার তৈরি করা তালিকা দেখে করোনা-আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে হলুদ ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হল।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা না মেনে বিভিন্ন কোয়রান্টিন কেন্দ্র বা কোভিড হাসপাতাল থেকে করোনার বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এমনকি সংক্রমণের কোনও তোয়াক্কা না করেই পুরকর্মীরা সেগুলি তুলছেন এবং তা অন্য বর্জ্যের সঙ্গে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৮ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় পরিবেশ আদালতের তৈরি গাইডলাইন মেনে কোভিড বর্জ্য নষ্ট করতে হবে। ওই নির্দেশ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে হাওড়া পুরসভা। শেষে আদালতের নির্দেশ মেনে পুরসভার সাফাইকর্মীদের কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। আগে যা করা হয়নি।
পরিবেশকর্মী সুভাষবাবু বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও হাওড়া পুরসভা যে কোভিড বর্জ্য নিয়ে সচেতন হয়েছে এটাই অনেক। কিন্তু কারা ওই বর্জ্য সংগ্রহ করছেন, তাঁরা যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কি না, দেখতে হবে এবং বর্জ্য কোথায় নষ্ট করা হচ্ছে তা-ও দেখা দরকার।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীদের সংগ্রহ করা হলুদ ব্যাগগুলি হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বায়ো সেফটি রুমে রাখা হচ্ছে। এর পরে ওই দু`টি হাসপাতাল থেকে একটি বেসরকারি সংস্থা ওই বর্জ্যগুলি সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। পরে ওই সংস্থা বর্জ্যগুলিকে বিশেষ পদ্ধতিতে নষ্ট করবে।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘কোভিডের বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য নষ্ট করার নির্দেশিকা মেনেই এই কাজ করছে পুরসভা। তবে এই বর্জ্য ফেলা বা নষ্ট করার জন্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া হচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনে ফুটবল নয়, গোল দিচ্ছে ক্যারম-লুডো