প্রতীকী ছবি
কোভিড পরীক্ষার জায়গার খোঁজ নেওয়া থেকে শুরু করে করোনার রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি কিংবা তাঁর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া, সবেতেই হয়রান হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে এমনই অভিযোগ করলেন জনপ্রতিনিধিদের একাংশ।
করোনা আক্রান্তের তালিকায় কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বুধবার পর্যন্ত ওই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৯১৭। মারা গিয়েছেন ৩১৫ জন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ দিন সাংসদ, বিধায়ক, পুর প্রশাসকমণ্ডলী, পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর। সেখানে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, ‘‘কোভিড পরীক্ষা কোথায় হচ্ছে, পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পরে কোথায় যাবেন, সে সম্পর্কে রোগীরা যেমন অন্ধকারে তেমনই অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিও স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। ফলে সাধারণ মানুষকেও ঠিক করে কিছু জানানো যাচ্ছে না।’’ অভিযোগ উঠছে অ্যাম্বুল্যান্স আসতেও গড়িমসি করছে।
শেষ পর্যন্ত এ দিন সিদ্ধান্ত হয়, জেলায় করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত কোথায় কী সুবিধা রয়েছে, তা জানাতে সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হবে। গ্রুপে পজ়িটিভ রোগীর তথ্য যেমন দেওয়া হবে, তেমনই তিনি কোনও সমস্যায় পড়লে সেটিও তুলে ধরবেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি। জানানো হয়েছে, বারাসত ও বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে ১০টি করে কোভিড অ্যাম্বুল্যান্স বাড়ানো হচ্ছে। তাতে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা দাঁড়াবে বারাসতে ৯০টি ও বসিরহাটে ৪০টি। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় লকডাউন হলে পাশের রাস্তায় লোকজনের ঘুরে বেড়ানো চলবে না।’’
আরও পড়ুন: স্ত্রী আক্রান্ত করোনায়, জানতে পেরেই মৃত্যু বৃদ্ধের