Jadavpur

যাদবপুরে প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা তদন্তে পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মায়াদেবীর দেহ উদ্ধার করে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ১১:০১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বেহালা, নেতাজিনগরের পর এ বার যাদবপুর। এক প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল যাদবপুর থানা এলাকার বিজয়গড়ে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে ওই প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম মায়া দত্ত (৫৭)।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মায়াদেবীর দেহ উদ্ধার করে তারা। প্রৌঢ়া আত্মহত্যা করেছেন, না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও প্রৌঢ়ার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর এখানেই রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

গত ২৫ জুলাই বেহালায় খুন হন শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা। সেই ঘটনায় সুলতান নামে এক রং মিস্ত্রিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই খুনের কিনারা করতে না করতেই নেতাজিনগরে এক বৃদ্ধ দম্পতি খুন হন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। আততায়ীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এই দুই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই যাদবপুরে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার পুলিশকে যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেমন আছেন প্রবীণেরা, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ

আরও পড়ুন: খুনের পরে হেঁটে চলে যায় আততায়ী

গত কয়েক দিনে শহরে তিন জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসীরা। উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। সেই খুনের ঘটনার পরই শহরের নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়ি গিয়ে খাঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। আর তার পরই শহরের বিভিন্ন এলাকার নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশের ৯টি ডিভিশনের বিভাগীয় ডিসি-রা। তাঁদের কী কী সমস্যা রয়েছে, পুলিশ কর্তারা সে বিষয়ে জানতে চান। ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কী কী করণীয় তা-ও তাঁদের বুঝিয়ে বলেন পদস্থ পুলিশ কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন