Driving License

কালীঘাটে ধৃত বাংলাদেশির কাছে কী ভাবে পৌঁছোল ড্রাইভিং লাইসেন্স? খোঁজখবর শুরু পরিবহণ দফতরের

গত ১৮ মে সকালে আজ়াদ শেখ নামের ওই ব্যক্তি কলকাতার সদানন্দ রোডে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন নেতাজিনগর থানার এএসআই সুষেণ দাসকে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ১৪:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কালীঘাটে ধৃত বাংলাদেশির কাছ থেকে মিলেছে ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। কিন্তু কী ভাবে ওই বাংলাদেশি নাগরিক তা জোগাড় করলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় দু’বছর ধরে বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ভিসা ছাড়াই ভারতে থাকছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে তাঁর কাছে ছিল বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। এমন তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই চোখ কপালে উঠেছে পরিবহণ দফতরের লাইসেন্স বিভাগের কর্তাদের। তাঁরা ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আজ়াদ শেখ নামের ওই অনুপ্রবেশকারী কলকাতার সদানন্দ রোডে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন নেতাজিনগর থানার এএসআই সুষেণ দাসকে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আজ়াদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর বাঁ পা ভেঙে যায়। মুখ এবং কব্জিতেও চোট লাগে। ওই পুলিশকর্মীকে প্রথমে এসএসকেএম, পরে কলকাতার অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ধৃত ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর কিছু নথি খতিয়ে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্ত নেমে দেখা যায় তাঁর অধিকাংশ নথিই জাল। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী পুলিশি তদন্তে উঠে আসে যে, ওই ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। আগেই গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কালীঘাট থানা। আজ়াদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

পরিবহণ দফতরের লাইসেন্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোথা থেকে লাইসেন্সটি করানো হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনও ক্ষেত্রে যদি ত্রুটি ধরা পড়ে তবে তা সংশোধন করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, অনেক ক্ষেত্রেই বেসরকারি ড্রাইভিং স্কুল থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়া হয়। তবুও তথ্য ও নথি যাচাই করেই পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরাই তাতে সম্মতি দেন। এ ক্ষেত্রে ত্রুটি কোথায় হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে চাইছেন লাইসেন্স বিভাগের আধিকারিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement