Education

অনশনে ২১ পড়ুয়া, মেডিক্যাল কলেজে এ বার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি

অনশনকারী ছাত্রদের সমর্থনে কর্মবিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তার এবং হাউস স্টাফদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ১৬:২০
Share:

অনশন অব্যাহত। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে। এ বার অনশনকারী ছাত্রদের সমর্থনে কর্মবিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তার এবং হাউস স্টাফদের একাংশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। যার ফলে কার্যত চাপের মুখে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে না নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছেন কর্তৃপক্ষ। জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে অংশ নিলেও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সে দিকেও আমাদের খেয়াল রয়েছে।’’

দশম দিনে পড়েছে মেডিক্যালে অনশন কর্মসূচি। এখনও হস্টেল বিতর্কের সমাধান সূত্র মেলেনি। উল্টে অনশনকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আগেই ছ’জন অনশনে বসেছিলেন। বুধবার রাত থেকে আরও ১৫ জন আমরণ অনশনে সামিল হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের তরফে সায়ন্তন মুখুটি এ দিন বলেন, “ইতিমধ্যেই অনশনে সামিল হয়ে তিন জন এখন গুরুতর অসুস্থ। বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। এর পরেও দাবি না মানলে গণআন্দোলনের পথেই যেতে হবে।”

Advertisement

আরও খবর: মূক ও বধির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

ইতিমধ্যেই প্রতীকী অনশন করে ছাত্রদের দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি কর্মবিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার ফলে আন্দোলনের ঝাঁঝ অনেকটাই বেড়েছে।

হবু ডাক্তারদের দাবি কোনও ভাবেই মানা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে ছুটিতে রয়েছেন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান রামানুজ সিনহা।

তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এ বিষয়ে আলোচনার জন্য স্বাস্থ্য ভবনেও গিয়েছিলেন। ফিরে এসে হস্টেল বিতর্কের জট কাটাতে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক বসে। কিন্তু তাতেও সমাধানসূ্ত্র বেরোয়নি।

আরও পড়ুন: র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ মৃত ছাত্রের পরিবারের

এ বিষয়ে সায়ন্তন বলেন, “আলোচনার সময় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, মেডিক্যালের সমস্যা নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্দেশ আসার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। ফলে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথাই নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন