অম্লান দত্ত।
এক দন্ত চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে, চেতলার শঙ্কর ঘোষ রোডের একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম অম্লান দত্ত (৪৩)।
পুলিশ জানায়, দুপুরে চেম্বার সেরে চেতলার পি/১/৩ শঙ্কর ঘোষ রোডের বাড়িতে ফিরেছিলেন অম্লানবাবু। পুলিশকে অম্লানবাবুর মা বাসন্তী দত্ত জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে টুকটাক কথা বলে স্নান করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে অম্লানবাবু নিজের ঘরে ঢোকেন। ছেলের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে তখন অপেক্ষা করছিলেন মা। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলে খেতে না আসায় নিজেই তাঁকে ডাকতে যান ওই বৃদ্ধা। পুলিশ জেনেছে, ওই ঘরে ঢুকেই তিনি দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলছেন অম্লানবাবু। পুলিশকে বাসন্তীদেবী জানিয়েছেন, ঘটনার সময়ে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া নাতি এবং তিনিই ওই বাড়িতে ছিলেন। অম্লানবাবুর স্ত্রী কৌশানী কর্মরতা। ঘটনার সময়ে তিনি অফিসে ছিলেন। ফলে নাতিকেই ওই আবাসনের পড়শিদের ডাকতে পাঠান বৃদ্ধা। বাসন্তীদেবী জানান, পড়শিদের সাহায্য নিয়ে তিনি নিজেই ছেলেকে নামিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেন চেতলা থানাতেও। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসকেরা জানান, ততক্ষণে অম্লানবাবুর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসন্তীদেবী জানিয়েছেন, সম্প্রতি চেম্বারে রোগী কম হচ্ছিল বলে অম্লানবাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু তার জন্য এ রকম সিদ্ধান্ত যে ছেলে নিতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি বাড়ির লোকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ওই চিকিৎসকের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অস্বাভাবিক মৃত্যু পরপর ঘটছে শহরে। মঙ্গলবার রাতেই পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী কলেজের পড়ুয়া ঋক বসুর দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের কালিকাপুরের বাড়ি থেকে। সেখানেও তদন্তে নেমে মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত খুঁজে পায় পুলিশ। ওই ঘটনার এক দিন পরেই দন্ত চিকিৎসকের মৃত্যুতেও অবসাদের কারণ উঠে আসায় চিন্তিত পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনাটি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।