এখানেই ভেঙে পড়ে দেওয়াল। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নির্মাণের কাজ করার সময় দেওয়াল চাপা পড়ে বুধবার প্রাণ হারালেন এক ঠিকা শ্রমিক। মৃতের নাম বাপন সর্দার। তিনি বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা।
গত কয়েক দিন ধরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের তিন এবং চার নম্বর র্যাম্পের মাঝে এবি কাট আউটের কাছে সংস্কারের কাজ চলছিল। সূত্রের খবর, ওই জায়গাটির সংস্কার করে ক্যান্টিন তৈরির পরিকল্পনা ছিল কর্তৃপক্ষের। গত ১৫ দিন ধরে সেই কাজ করছিলেন কেতুগ্রামের বাসিন্দা বাপন সর্দার, উৎপল সর্দার, কৃষ্ণ সর্দার, সোনা সর্দার এবং মাখন সর্দার-সহ আরও কয়েক জন। প্রত্যক্ষদর্শী ঠিকা শ্রমিকেরা জানান, বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ বাপন এবং আরও কয়েক জন যন্ত্রের সাহায্যে মেঝে ছাড়ানোর কাজ করছিলেন। তখন জরাজীর্ণ দেওয়াল বাপনের উপরে ভেঙে পড়ে। মাখনের কথায়, ‘‘যন্ত্রের আওয়াজে দেওয়াল যে ভেঙে পড়ছে প্রথমে বুঝতে পারিনি। সোনা বুঝতে পেরে বাপনকে সতর্কও করলেও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’’
বাপনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। বাপনের দেড় বছর এবং তিন বছরের দুই মেয়ে রয়েছে।
যদিও ঠিকা শ্রমিকদের বয়ানের সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের তফাত রয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, যন্ত্রের সাহায্যে কাজ করার সময় নতুন দেওয়াল ভেঙে পড়ে বাপনের মৃত্যু হয়। তবে এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে দেওয়ালের তলায় বাপন চাপা পড়েছিলেন সেটি জীর্ণ
এবং স্যাঁতসেঁতে।
ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, ঠিকা শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়াই কি সংস্কারের কাজ চলছিল? যুবভারতীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। জবাব দেননি পূর্ত দফতরের কর্তারাও।