কার্ডে নাম নেই, মেলা ‘বয়কট’ ওঁদের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুরুতর মাত্রা যোগ করল বিধাননগর মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ।

Advertisement

শনিবার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ-সহ অন্তত ২২ জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত রইলেন! দেখা মিলল না স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদেরও। অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যায় ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই মেলা যে ভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে অসম্মানিত বোধ করছি। সাংসদ, বিধায়ক তো দূর, ডেপুটি মেয়র হিসাবে আমার নামও নেই! বৈঠকে ঠিক হয়েছিল আমন্ত্রণপত্রে সকলের নাম থাকবে। সকলকে নিয়ে চলার মানসিকতা যেখানে নেই সেখানে যাওয়ার কোনও অর্থ খুঁজে পাইনি।’’

বিগত বছরেও একই কারণে উদ্বোধনী মঞ্চে অনুপস্থিত-উপস্থিতদের নাম নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেছে। তবে স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতি এই প্রথম। ডেপুটি মেয়রকেও এ ভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। ডেপুটি মেয়রের মতো আমন্ত্রণে অসন্তোষের কথা সরাসরি জানিয়েছেন নির্মল দত্ত, শম্পা চক্রবর্তী এবং জয়দেব নস্কর। চেয়ারপার্সনের কন্যা ফোন ধরে জানান, তাঁর মা অসুস্থ।

Advertisement

বিতর্ক প্রসঙ্গে মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘পুরসভার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে পুর দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়া কারও নাম নেই। এর পরেও বাকি মন্ত্রীরা যদি আসেন তবে সাংসদ, বিধায়কের আসতে আপত্তি কোথায়? আমন্ত্রণপত্রে ১০০ জনের নাম দেওয়ার মানসিকতা আমার নেই।’’ পাশাপাশি, তাঁর আরও বক্তব্য, তুলসী সিংহ রায়, নীলা়ঞ্জনা মান্না এবং অনিতা মণ্ডল পারিবারিক এবং শারীরিক অসুবিধার কারণে যে আসতে পারেননি, তা তাঁকে ফোন বা এসএমএসে জানিয়েছেন। বাকিদের মধ্যেও অনেকে ব্যক্তিগত কারণে শহরের বাইরে। তাই গরহাজিরের সংখ্যা বাইশের চেয়ে কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন