Anubrata Mondal

মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল, রায় শুনে কেষ্টর প্রতিক্রিয়া, ‘সত্যের জয় হল’

২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েক জন জখম হয়েছিলেন। ওই মামলায় অনুব্রত-সহ ১৪ জন অভিযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ‘বেকসুর খালাস’ পেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৩৫
Share:

বেকসুর খালাস অনুব্রত। —ফাইল চিত্র।

প্রায় ১২ বছরের পুরনো মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলা থেকে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে মুক্তি দিল আদালত। শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত এই মামলায় অনুব্রত-সহ ১৪ জন অভিযুক্তকে তথ্যপ্রমাণের অভাবে ‘বেকসুর খালাস’ ঘোষণা করেছে।

Advertisement

বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার মল্লিকপুর একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েক জন জখম হয়েছিলেন। তার মধ্যে দু’জনের জখম ছিল গুরুতর। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত এবং কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ-সহ ১৫ জন। মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়।

২০১০-এ মঙ্গলকোট থানায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। এর পর তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে বিশেষ আইন-আদালত করতে হয়নি তাঁকে। মঙ্গলকোট মামলার শুনানিতে হাজির করানোর জন্য গত সপ্তাহে আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে আনা হয়েছিল অনুব্রতকে।

Advertisement

অনুব্রতের আইনজীবী শৌভিক বসু ঠাকুর বলেন, ‘‘সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছিলাম। কোনও তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে আদালত বেকসুর খালাস (অনুব্রতকে) ঘোষণা করেছে।’’ অন্য দিকে, বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত রায় ঘোষণার পরে অনুব্রত বলেন, ‘সত্যের জয় হল।’’

এর পর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়ে, দিদি যে ভাবে প্রথম থেকে পাশে রয়েছেন, পরবর্তী মামলাগুলি থেকেও কি একই ভাবে মুক্তি পাওয়ার আশা করছেন? কেষ্ট-সুলভ জবাব— ‘‘কেনও! আমি কি অন্যায় কিছু করেছি না কি? খালি দেখে যাও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন