বুধবার নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির শারদ উৎসবের আবাহনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে মমতাশঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত।
বেশি সময় নেই আর। পুজো এসে গিয়েছে। মাঝে হাতে গোনা কয়েকটা দিন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের জন্য চতুর্দিকে তাই প্রস্তুতি শুরু গিয়েছে। কিন্তু সলতে পাকানোরও একটা শুরু থাকে। নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি শুরুর সেই শুরুটাই করে ফেলল। বুধবার তারা শারদ উৎসবের আবাহনের আয়োজন করেছিল। সেখানে বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী মমতাশঙ্কর। তাঁকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
বুধবার নিউ টাউন সিটি স্কোয়্যার মাঠে আয়োজিত হয় শারদ উৎসবের আবাহন অনুষ্ঠান। সেখানে সমিতির তরফে জানানো হয়, নিউটাউন সর্বজনীন এ বার চতুর্থ বছরের মাতৃ আরাধনায় অভিনবত্ব আনবে। শিউলির গন্ধে, মাতৃমূর্তির স্নিগ্ধতায় এবং মণ্ডপের নব ভাবনায় মেদুরতা থাকবে। নিউটাউন সর্বজনীনের সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত কর বলেন, “এ বারের প্রতিমা শিল্পী রিন্টু দাস। দানবদলনী বিশ্বজননী নারী শক্তিকে নিরন্তর যে ভাবে জাগিয়ে তোলেন, সেটাই তাঁর সৃষ্টিতে প্রতিফলিত হয়েছে। মহিলা পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণে, মহিলা ঢাকিদের ঢাকের তালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মণ্ডপে আমরা মেতে উঠব শারদোৎসবে।’’
নিউ টাউন সিটি স্কোয়্যার মাঠে শারদ উৎসবের আবাহন অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
আবাহনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা, অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী-সহ অনেকে। সমিতির সম্পাদক সমরেশ দাস বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো এখন ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম। আমরা সেই দুর্গোৎসবের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত।’’