পুজোয় হকার নয় ফুটপাতে, কড়া নগরপাল

পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর মুখেই ফুটপাত আটকে যাতে হকার না-বসে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৪
Share:

ফাইল চিত্র

বিভিন্ন সেতুর বেহাল দশার জন্য পুজোর শহরে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ষোলো আনা। এই পরিস্থিতিতে পথচারীদের জন্য অন্তত যাতে ফুটপাতে সামান্য জায়গা থাকে, তার চেষ্টায় নামছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর মুখেই ফুটপাত আটকে যাতে হকার না-বসে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এই নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেই আধিকারিকেরা উঠেপড়ে লেগেছেন ভুঁইফোঁড় হকার রুখতে। বিভিন্ন থানার ওসি এবং সার্জেন্টরা নিজেদের এলাকা পরিদর্শন করছেন। লালবাজারের খবর, ইতিমধ্যেই প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়েছে। কোনও জায়গায় হকার বসে রাস্তা বা ফুটপাত বন্ধ করেছে, এমন অভিযোগ পেলে সেই ভিডিয়ো মিলিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুজোর পরেও এই নির্দেশ কার্যকর থাকতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশের অনেকে।

কলকাতার রাস্তা ও ফুটপাতে হকার সমস্যা দীর্ঘদিনের। রাজ্য সরকার ‘হকার নীতি’র কথা ঘোষণা করলেও তা বাস্তবে দেখা যায় না। বরং কলকাতার বহু ফুটপাতই কার্যত দখল হয়ে গিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, পুজোয় এমনিতেই বহু রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড থাকে। এ বার গাড়ির চাপ সামলাতে কিছু এলাকায় ব্যারিকেড সরু হতে পারে। তাই ভিড়ের যাতায়াতের জন্য ফুটপাত তুলনামূলক খালি রাখতেই হবে। পুজো সংক্রান্ত পুলিশি বৈঠকে ভিড় সামলানোর কিছু প্রক্রিয়া বলে দেওয়া হয়েছে। মূলত মণ্ডপে ঢোকা এবং বেরোনোর পথ যাতে অবরুদ্ধ না-হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

লালবাজারের প্রবীণ আধিকারিকদের অনেকে বলছেন, মূলত উত্তর কলকাতার বিভিন্ন গলিতে বড় পুজো হয়। ফলে ভিড়ের চাপ বাড়ে। এ বার টালা সেতুতে বাস বন্ধ এবং ছোট গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শ্যামবাজার, হাতিবাগান, বেলগাছিয়া, বাগবাজারে চাপ পড়বে। তার উপরে ভিড় ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে এলে সমস্যা জটিল আকার নেবে। সেই কারণেই ফুটপাত হকার-মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।

তবে অনেকে এ-ও বলছেন, উৎসবের শহরে দু’পয়সা বেশি আয়ের জন্য অনেক ছোট দোকানি অস্থায়ী স্টল দেন। কেউ সামান্য টেবিল পেতে পসরা জানান। পুলিশ একেবারে বসতে না-দিলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। পুলিশের একাংশের ব্যাখ্যা, গরিব দোকানিদের কথাও ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বড় রাস্তার বদলে আশপাশের গলিতে দোকানগুলি স্থানান্তরিত করা হতে পারে। নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বড় মণ্ডপগুলির আশপাশের দোকানও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন