প্রতীকী চিত্র।
শাশুড়ি শৌচাগারে ঢুকেছেন দীর্ঘ ক্ষণ। কিন্তু বেরোচ্ছেন না। ভিতর থেকে মিলছে না কোনও সাড়াশব্দ। শেষে বৌমা বিষয়টি বাড়ির অন্যদের বলতে তাঁরাও এসে ডাকাডাকি শুরু করেন। তাতেও সাড়া না মেলায় তাঁরা দরজা ভেঙে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। গলার নলি কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। পাশে পড়ে রয়েছে বড় ছুরি।
বৃহস্পতিবার সকালে তিলজলা থানা এলাকার কুষ্টিয়া রোডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, কুষ্টিয়া রোডে একটি বহুতলের বাসিন্দা সাইদা খাতুন (৬৩) নামে ওই বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশকে সাইদার এক বৌমা আমিরা আশরফি জানিয়েছেন, সাইদা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। এ দিন সকলে যখন অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখনই তিনি শৌচাগারে ঢোকেন। তিনি যে হাতে ছুরি নিয়ে ঢুকেছিলেন, সেটা কেউ দেখেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই বৃদ্ধা আত্মঘাতী হয়েছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ওই বৃদ্ধার দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।