—প্রতীকী চিত্র।
নিউ গড়িয়ার পঞ্চসায়রে বৃদ্ধা বিজয়া দাসের খুনের ঘটনায় রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশের নজরে এ বার বৃদ্ধ দম্পতির আয়া। তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতির দেখাশোনা করতেন এক আয়া। ১৭ অগস্ট তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় এক আয়া সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি দম্পতির বাড়িতে থাকতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই আয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার যে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়েছে সেখানে আয়াকে দেখা গিয়েছে। ফলে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পরিচারিকা মধুমিতা বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে এসেছিলেন। ৫টা ৪২ মিনিটে চলে যান। শুক্রবারও এসেছিলেন তিনি। দম্পতিকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে পঞ্চসায়রে একটি বাড়ি থেকে অশীতিপর বৃদ্ধা বিজয়া দাসের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর হাত বাঁধা ছিল। বাড়ির সিঁড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। আর ঘরের ভিতরে তাঁর স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার গায়ের গয়না উধাও। আর তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, সম্পত্তি এবং গয়না হাতানোর লোভেই এই খুন। যদিও এখনও আসল কারণের খোঁজে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পরিচারিকা প্রতি দিনের মতো বাড়িতে গিয়ে কলিং বেল বাজিয়েছিলেন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাড়ির কাছেই রয়েছে পঞ্চসায়র থানা। সেখান থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সিঁড়ির কাছ থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁর পরনে যে সমস্ত গয়না ছিল, তা উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে বৃদ্ধের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। এ ছাড়া, বাড়ির সিসিটিভি এবং বিদ্যুতের তার কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির একতলায় থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাড়ির পিছনের দিকের দরজাটিও খোলা ছিল। সেখান দিয়ে দম্পতি যাতায়াত করতেন। হত্যাকারী সেখান দিয়ে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।