কলকাতার পাঁচটি মর্গ থেকে দ্রুত অনলাইনে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট লালবাজারে পৌঁছনোর ব্যবস্থা নিতে বললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
লালবাজার জানিয়েছে, সোমবার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সদর দফতরে বসে ৬৯টি থানার ওসি এবং আটটি ডিভিশনের ডিসি-র সঙ্গে টেলি কনফারেন্স করেন। তখনই সব মর্গে ওই ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন। এসএসকেএমের মতো হাসপাতালের মর্গে তা চালু হলেও কাটাপুকুরের মতো জায়গায় তা এখনও চালু হয়নি। কাটাপুকুরে যাতে ওই ব্যবস্থা দ্রুত চালু করা হয়, তার জন্যই ওই নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
নতুন ওই ব্যবস্থায় মর্গ থেকে স্ক্যান করে অনলাইনে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট সোজা লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে পৌঁছবে। এর জন্য প্রতিটি মর্গে কম্পিউটার-সহ সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। লালবাজারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ বিভাগে। ওই নতুন শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (ইনভেস্টিগেশন)-কে। পরে সেই শাখার কর্মীরা তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারীর কাছে। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তকারী অফিসার তা ডাউনলোড করে আবেদনকারীর হাতে তুলে দিতে পারেন। আবার নিজের তদন্তের জন্য কাজেও লাগাতে পারেন। পাশাপাশি, ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ‘হার্ডকপি’ প্রয়োজন পড়লে তা-ও মিলবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় পাঁচ জায়গায় মৃতদেহের পোস্টমার্টেম বা ময়না-তদন্ত করা হয়। এত দিন একটি মৃতদেহের ময়না-তদন্তের পরে প্রায় পনেরো-কুড়ি দিন পরে তদন্তকারীরা রিপোর্ট পেতেন। তা-ও তদন্তকারীকে মর্গ থেকে তা সংগ্রহ করে আনতে হত। পুলিশের দাবি, ওই নতুন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে।
ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এক বার থানা, সেখান থেকে লালবাজার— এ ভাবেই ঘোরাঘুরি করতে হত আবেদনকারীকে। এ বার সেই জায়গায় রাশ টানতে
চাইছে লালবাজার।
এক পুলিশকর্তা জানান, ওই ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে তার সুফল মিলতে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। বকেয়া রিপোর্ট অনলাইনে পাঠানো শেষ হলেই, টাটকা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অনলাইনে মিলবে কয়েক দিনের মধ্যেই। সেই সঙ্গে রিপোর্ট হাতে আসার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ময়না-তদন্তের চিকিৎসকদের টাকাও মিটিয়ে দেবে লালবাজার। ওই কর্তার কথায়, বেশ কিছু রিপোর্ট অনলাইনে পাঠানো শুরু হলেও পুরোটা এখনও হয়নি।