Kolkata Accident

বুধ সকালে কলকাতায় দুর্ঘটনা, বাবার সঙ্গে স্কুল যাওয়ার পথে পড়ুয়াকে পিষে দিল লরি, হাসপাতালে আহত কিশোর

বুধবার সকালে স্কুল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই পড়ুয়া। লরি ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে সে। অভিযোগ, তার পরেও লরিটি না থামিয়ে এগিয়ে যান চালক। তখনই চাকার নীচে চাপা পড়ে ওই কিশোর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আবার কলকাতায় পথ দুর্ঘটনার শিকার স্কুলপড়ুয়া। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে মানিকতলার কাছে বেঙ্গল কেমিক্যালস মোড়ে। বাবার সঙ্গে বাইকে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল ১২ বছরের কিশোর। আচমকা পিছন থেকে এসে একটি লরি ধাক্কা মারে বাইকে। রাস্তায় পড়ে যেতেই স্কুলপড়ুয়াটিকে পিষে দেয় লরিটি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। আহত পড়ুয়াকে উদ্ধার করে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্কুল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই পড়ুয়া। লরি ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে সে। অভিযোগ, তার পরেও লরিটি না থামিয়ে এগিয়ে যান চালক। তখনই চাকার নীচে চাপা পড়ে ওই কিশোর। লরিচালক পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। স্থানীয়েরা লরির চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল লরিটি। শেষ মুহূর্তে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না-পেরে বাইকে ধাক্কা মারে।’’ জানা গিয়েছে, আহত কিশোর বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র।

Advertisement

কলকাতার রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বার বার। গত বছর সল্টলেক এবং বাঁশদ্রোণীতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। গত বছর নভেম্বরে সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হয় আয়ুষ পাইক নামে বছর এগারোর এক ছাত্রের। সেই বছরই অক্টোবরে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রকে জেসিবি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। নবম শ্রেণির ওই ছাত্র কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। পথে তাকে ধাক্কা দেয় জেসিবি। তার মাথায় চোট লাগে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের অগস্টে বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সৌরনীল সরকার নামে ওই ছাত্রকে পিষে দেয় লরি। লরির ধাক্কায় আহত হন তার বাবাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement