সিএনজি আনতে সক্রিয়তা

মহানগরীর বায়ুদূষণে লাগাম টানতে কলকাতায় কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) আনার ক্ষেত্রে ফের সক্রিয় হচ্ছে রাজ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

অবশেষে বোধ হয় বল গড়াতে শুরু করল।

Advertisement

মহানগরীর বায়ুদূষণে লাগাম টানতে কলকাতায় কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) আনার ক্ষেত্রে ফের সক্রিয় হচ্ছে রাজ্য।

জাতীয় সংস্থা গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (গেল)-র সঙ্গে যৌথ অংশীদারির সংস্থা গড়তে রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে বলে জাতীয় পরিবেশ আদালতে জানান রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি পেশ করা হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে যেন এটি গুরুত্ব পায়, সে দিকে অভ্রতোষবাবুকে নজর রাখতে বলেছেন বিচারপতি এস পি ওয়াংদি।

Advertisement

রাজ্যে সিএনজি আনার ক্ষেত্রে যৌথ সংস্থা তৈরির মউ স্বাক্ষর হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই নতুন করে চুক্তি। কলকাতার মতো দূষিত শহরে কেন পরিবেশবান্ধব সিএনজি আনা হচ্ছে না, তা নিয়ে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘গেল-এর বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অংশীদারি সংস্থা গঠনের বিষয়টিতে সম্মতি দিলেও রাজ্য সরকার নানা টালবাহানা করছিল।’’

পরিবেশবিদেরা বলছেন, কলকাতার মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের জন্য দায়ী ডিজেল চালিত ভারী গাড়ি। দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন বড় শহর গণপরিবহণ ব্যবস্থা ডিজেল থেকে সিএনজি-তে বদলে নিচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যের সে দিকে খেয়াল নেই। সম্প্রতি সরকারি পরিবহণ সংস্থা যে নতুন বাস নামিয়েছে, সেগুলি ডিজেল চালিত। এক পরিবেশকর্মী বলছেন, সরকারের মনোভাব কী, সেটা সম্প্রতি পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই পরিষ্কার। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সিএনজি-তে পরিবর্তনের আগে আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ওই পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘সমস্যা আলোচনা করার অর্থ আরও দেরি হওয়া।’’ যদিও সরকারের একাংশ বলছেন, মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া মানে বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীর সিলমোহর পড়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন