Behala College

উপস্থিতি কম? টাকা দিলেই বসা যাবে পরীক্ষায়, ক্ষোভে উত্তাল বেহালা কলেজ

যাঁদের উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের কম, তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ছাত্র সংসদের একাংশের সদস্যরা। শনিবার এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। এনিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৭
Share:

ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।

কলেজে ‘তোলাবাজি’রঘটনায় ফের নাম জড়াল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। এবার টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল বেহালা কলেজ ক্যাম্পাস।

Advertisement

অবিযোগ, ক্লাসে যাঁদের উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশের কম, তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ছাত্র সংসদের একাংশের সদস্যরা। শনিবার এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। এনিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতি শুরু হয়।

কলেজ ইউনিয়নের এই দুর্নীতি সামনেএনেছেন টিএমসিপি-র সদস্যরাই। তাঁদের অভিযোগ, কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর অনুগামীরা টাকা নিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসানোর চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ উঠছে কয়েকজন বহিরাগত ছাত্রের বিরুদ্ধেও। কলেজ চলাকালীন বহিরাগতরা কী ভাবে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

দেখুন ভিডিয়ো

ওই কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্রের কথায়: “কোনও অভিযোগ উঠলে এভাবে বিক্ষোভ না দেখিয়ে আমার কাছে আসা উচিত ছিল। কেউ আসেনি। কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: এই সরীসৃপই বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল তিন লাখ টাকায়!

কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিময় অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষে ৬০ শতাংশের কম উপস্থিতির হার থাকলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। বেহালা কলেজের বহু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসার সুযোগ না পাওয়ায় কলেজের ছাত্র সংসদের কাছে যান তাঁরা।অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁদের বলা হয় টাকা দিলেই পরীক্ষায় বসা যাবে। এ ভাবেই কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছাত্র সংসদের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আন্দোলনরত ছাত্রী সোমা পাইনের অভিযোগ, ‘‘আমাকে এক ছাত্রনেতা বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ঘুরলে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করিয়ে দেবেন।’’ তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জনা দাসের অভিযোগ, তাঁকে কুরুচিকর এসএমএস করা হত।

আরও পড়ুন: তাড়া করে বিক্ষুব্ধদের ফেলে মার সেন্ট পলসে

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা অভিযোগ, পড়াশোনা না করে পরীক্ষায় বসার চেষ্টা করছেন একাংশের ছাত্রছাত্রীরা। টাকা নিয়ে কাউকে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। এর পিছনে অন্য রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আসলাম আলি খান বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।”

(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন