সমাবেশ, দুর্ঘটনা, যানজটে নাকাল

শাসক দলের সভার জেরে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল বন্ধ ছিল রানি রাসমণি রোড। ফলে ধর্মতলা ও আশপাশের রাস্তায় অত্যন্ত ধীর গতিতে গাড়ি চলেছে। পাশাপাশি, সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে হাওড়াগামী মোবিল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে উল্টে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫১
Share:

পিচ্ছিল: ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়ার পর এ ভাবেই মোবিলে ভরে যায় রাস্তা। সোমবার, বিদ্যাসাগর সেতুতে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

দুপুরে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ। সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর সেতুতে ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়া। দুইয়ে মিলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে শহরের নানা প্রান্তে যানজটে ভুগলেন শহরবাসী। রাত পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সেতুতে মোবিল ছড়িয়ে থাকায় নাজেহাল হন মানুষ।

Advertisement

শাসক দলের সভার জেরে সোমবার দুপুর থেকে বিকেল বন্ধ ছিল রানি রাসমণি রোড। ফলে ধর্মতলা ও আশপাশের রাস্তায় অত্যন্ত ধীর গতিতে গাড়ি চলেছে। পাশাপাশি, সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে হাওড়াগামী মোবিল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে উল্টে যায়। ফলে পিটিএস থেকে হাওড়ার দিকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। অনেক গাড়িকে স্ট্র্যান্ড রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন শহর ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে তৃণমূল সমর্থকেরা বেলা ১২টা থেকে রানি রাসমণি রোডে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই রাস্তার দু’প্রান্তই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা বন্ধ থাকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত। ফলে দক্ষিণ কলকাতা থেকে হাওড়াগামী সব গাড়ি মেয়ো রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। রানি রাসমণি রোড বন্ধ থাকায় এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট, নিউ রোডে গাড়ির গতি ছিল খুব শ্লথ।

Advertisement

নিত্যযাত্রীদের সব থেকে বেশি ভোগান্তি হয় সন্ধ্যার পরে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মোবিল ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার উল্টে যায় বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে। ঘটনায় চালক ও খালাসি আহত হন। গোটা রাস্তা মোবিলে পিচ্ছিল হয়ে যায়। মাঝরাস্তায় ট্যাঙ্কার উল্টে যাওয়ায় পিছনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় সব গাড়ি। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ ট্যাঙ্কারটি সরানো গেলেও তত ক্ষণে যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে অফিস ফেরত যাত্রীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন