Murder

পিটিয়ে হত্যা যুবককে, ধৃত সপুত্র সঙ্গিনী

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙা চিনামন্দির এলাকার লেকপল্লিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০৩:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি

রান্না করে বাড়ির বাইরে আড্ডা মারতে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিছু ক্ষণ পরে ফিরে এসে খাবার খেতে চান সঙ্গিনীর কাছে। ওই যুবক মত্ত অবস্থায় কেন ফিরেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সঙ্গিনী। এ নিয়ে দু’জনের বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, তার মধ্যেই যুবক লাথি মেরে উনুন ভেঙে দেন। যার জেরে বচসা আরও বাড়ে। যোগ দেন মহিলার ছেলেও। অভিযোগ, মা-ছেলে মিলে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন ওই যুবককে। মারের চোটে যুবক মাটিতে পড়ে গেলে পাশে থাকা ইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙা চিনামন্দির এলাকার লেকপল্লিতে। গুরুতর জখম সুজিত বিশ্বাস (৩৫) নামের ওই যুবককে রাতেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি এসি সারানোর কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুজিতের সঙ্গিনী তপতী দাস ও তাঁর ছেলে সৌম্যদীপ দাসের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ দায়ের করেছে। শুক্রবার কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় তপতীকে। পরে গ্রেফতার হন সৌম্যদীপও। আজ, শনিবার তাঁদের আদালতে তোলার কথা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে অভিযুক্তেরা রাতেই ঘটনাস্থলের রক্ত ধুয়ে দেন। পুলিশ ও এলাকাবাসীর বক্তব্য, চিনামন্দিরের লেকপল্লিতে গত দু’বছর ধরে একই বাড়িতে ছিলেন তপতী ও সুজিত। সঙ্গে থাকতেন তপতীর ছোট ছেলে সৌম্যদীপও।

এলাকা সূত্রের খবর, সুজিত একটি বাড়ি তৈরি করিয়েছিলেন। তা নিয়েই মা-ছেলের সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল তাঁর। সেই আক্রোশ থেকেই ওই যুবককে খুন করা হয় বলে দাবি পড়শিদের। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ শুক্রবার রাত পর্যন্ত মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement