সৌমিত্রের ‘সমব্যথী’ সিপিএম, বিঁধল তৃণমূল

জানুয়ারিতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র। সে মাসেই যোগ দেন বিজেপিতে।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪০
Share:

বেলিয়াতোড়ের এক মিছিলে সৌমিত্রের স্ত্রী সুজাতা। নিজস্ব চিত্র

আদালতের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীর জেলায় ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই সৌমিত্র খাঁর হয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ভোট প্রচারে নামলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। সোমবারের প্রচারে শিক্ষিকা সুজাতার অভিযোগ, ‘‘স্বামীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল।’’, এই অভিযোগে তিনি পাশে পেয়েছেন সিপিএমকে। প্রশাসনের ডাকা সর্বদল বৈঠকে এ দিন তারাও সৌমিত্রর বিরুদ্ধে মামলায় ‘দেরি করা’র অভিযোগে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। বৈঠকে হাজির তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘বাম-রাম ভোটের আগেই এক।’’

Advertisement

জানুয়ারিতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র। সে মাসেই যোগ দেন বিজেপিতে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে বাঁকুড়া জেলায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়ে প্রতারণা করা থেকে শুরু করে বালি চুরি, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে সৌমিত্র গ্রেফতারি এড়ালেও, সেই থেকে তাঁর জেলায় ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ২৭ মার্চ হাইকোর্ট তাঁকে আরও ছ’সপ্তাহ জেলায় ঢুকতে বারণ করে। হিসেব বলছে, সে নির্দেশ মেনে সৌমিত্রর বাঁকুড়ায় ঢুকতে মে মাসের ৮-৯ তারিখ হয়ে যাবে। তখন প্রচারের সম শেষ। ভোট সেখানে ১২ মে।

সর্বদল বৈঠকে সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন বসু বলেন, “সৌমিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সব তৃণমূলে থাকার সময়ের। কিন্তু যত দিন তৃণমূলে ছিলেন, তত দিন এ নিয়ে প্রশ্নওঠেনি। বিজেপিতে যেতেই পুলিশ সক্রিয় হল! বোঝা যাচ্ছে, পুলিশ বা প্রশাসন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে।” জবাবে তৃণমূলের টিপ্পনী কাটে, ‘‘এত দরদের কারণ স্পষ্ট।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৪-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন সৌমিত্র। পান ৪৫.৫% ভোট। ৩৪% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন বাম-প্রার্থী। তৃতীয়, বিজেপি পায় ১৪% ভোট। সৌমিত্রের মন্তব্য, ‘‘রাজ্যে ভোট হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।’’ সিপিএম নেতা মনোরঞ্জনবাবুর দাবি, দলের প্রতি কর্মী-সমর্থকদের আস্থা অটুট। তিনি বলেন, ‘‘সৌমিত্র দোষী হলে পুলিশ কেন দেরি করে পদক্ষেপ করল, সে প্রশ্নই তুলি সর্বদলীয় বৈঠকে।’’ বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার মন্তব্য, ‘‘দু’-একটি বাম যদি গেরুয়া ভেক ধরে, তাতে কিছু আসে-যায় না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।’’

(সহ-প্রতিবেদন: অভিজিৎ অধিকারী, বিষ্ণুপুর)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন