‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’— রাজ্য জুড়ে প্রচারেও হুঁশ ফিরছে কি! মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বাস দুর্ঘটনার পরে ফের সামনে এসেছে সেই প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বেগ ধরা পড়ল ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে।
শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্রিজ এবং বিদ্যুতের টাওয়ারের নীচ থেকে মাটি কাটা অ্যালাও করব না। পুলিশ মাস্ট টেক অ্যাকশন। কারও ব্যক্তিগত পকেটে টাকা করার জন্য এ সব চলবে না। এতে কেউ ব্যক্তিগত টাকা করতে পারে, কিন্তু এতে জনগণের লাভ হয় না, সরকারের লাভ হয় না।’’ দৌলতাবাদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতার সতর্কবাণী, ‘‘সাবধানে চালান, না হলে হুশ করে বাস নিয়ে নদীতে পড়ে যাবেন।’’
পথ দুর্ঘটনা এড়াতে নতুন স্লোগানও বেঁধে দিয়েছেন মমতা— ‘স্লো ড্রাইভ, সেভ লাইফ’।
সার্বিক ভাবে রাজ্যে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে চিন্তিত মমতা। তবে সেতু এবং বিদ্যুতের টাওয়ারের নীচ থেকে মাটি কাটার প্রসঙ্গটি তিনি বলেছেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু এবং নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-র উদ্দেশে। উজ্জ্বলবাবুকে থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ইনফরমেশন রাখি। তুমি বসো। কয়েকশো কোটি টাকা দিয়ে ব্রিজ বানিয়েছি। ব্রিজের তলা
থেকে কাউকে মাটি কাটতে দেব না। এগুলো বড় ক্রাইম। পাপ কখনও ছেড়ে কথা বলে না। এখানে একটা চক্র কাজ করছে।”
কী সেই চক্র? স্থানীয় সূত্রের খবর, বালি পাচারচক্রের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বালি তোলা নিয়ে শাসক দলের স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষি রয়েছে। কয়েক মাস আগে লালগড়ের আমকলায় সেতুর তলায় কংসাবতী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠেছিল। এক সময় নয়াগ্রাম ব্লকে সুবর্ণরেখার ভসরাঘাট সেতুর তলা থেকেও বালি তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নয়াগ্রামের বিধায়কের কাছে ভরসাঘাট সেতু সম্পর্কে জানতে চান। কারণ, সেতুর এক ধারের রেলিং লরির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।