—ফাইল চিত্র।
তিতলি ঝড়ে পুজোর আগে কার্যত আগুন লেগেছে মাছের বাজারে।
মাছ টাটকা রাখতে ফর্মালিন ব্যবহার হচ্ছে, বিভিন্ন মহলে এই অভিযোগ ওঠার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ এ রাজ্যে কিছুটা কম আসছিল। এর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে তিতলির দাপটে কলকাতা-সহ রাজ্যের পাইকারি বাজারগুলিতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা থেকে মাছ আসা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। যার জেরে পাইকারি বাজারগুলিতে অন্ধ্রের রুই, কাতলার মাছের দাম নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। রুই, কাতলার জোগান কম বলে দাম বেড়ে গিয়েছে পারশে, ভেটকি, পাবদা-র মতো অন্য মাছেরও।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কলকাতা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ পাইকারি বাজারে শনিবার আড়াই কেজি কাতলা মাছের দাম দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকার কাছাকাছি। অন্য সময় খুব বেশি হলে যার দাম হয় ২২০-২৫০ টাকার মধ্যে। এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ১৫০ টাকা। ওই দরে মাছ পাইকারি হারে কিনে খুচরো বাজারে বিক্রি করলে দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মাছ ব্যবসায়ীদের বড় অংশের মত।
কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যতম বড় মাছের পাইকারি বাজার, পাতিপুকুরে সাধারণত গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ ট্রাক অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ আসে। গত দু’দিন খুব বেশি হলে ২-৪ ট্রাক মাছ বাজারে এসেছে বলে খবর। হাওড়া বা শিয়ালদহ পাইকারি বাজার থেকে রাজ্যের বহু জেলায় মাছ সরবরাহ হয়। হাওড়াতেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কমপক্ষে ২০ গাড়ি রুই, কাতলা-সহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ আসে। শনিবার সেখানে মাছের কোনও গাড়িই আসেনি বলে জানা গিয়েছে। মাছের আকাল গিয়েছে শিয়ালদহ পাইকারি বাজারেও।
হাওড়া পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদের মতে, আগামী কয়েক দিনে অবস্থার পরিবর্তন হবে না। পাতিপুকুর পাইকারি বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী ও বাজার সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক কমল দাস বলেন, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশের মাছের জোগান কমে গিয়েছে বলে পারশে, পাবদা, ভেটকি, আড়, বোয়াল, চিতলের দামও বেড়ে গিয়েছে।’’