মৌসম বেনজির নুর। ফাইল চিত্র।
অনেক দিনের জল্পনা শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। লোকসভা ভোটের আগে সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।
পরিবহণমন্ত্রী এবং মালদহের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এ দিন নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মৌসম। নবান্ন থেকে বেরোনোর সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুভেন্দু জানান, উত্তর মালদহ কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী হবেন মৌসম। কংগ্রেসও তড়িঘড়ি জানিয়ে দিয়েছে, মৌসমের বিরুদ্ধে উত্তর মালদহে কংগ্রেস প্রার্থী হবেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীর ছেলে ও বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী। অর্থাৎ মালদহের দু’টি কেন্দ্রেই লড়াইয়ে থাকবেন বরকত গনি খানের পরিবারের লোকজন।
মৌসম বলেন, ‘‘আজ থেকে দিদির নেতৃত্বে কাজ করব। ব্রিগেডে ১৯ জানুয়ারি গোটা ভারতের নেতৃত্ব এসেছিলেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে ওঁকে সমর্থন জানাতে। এক ইঞ্চি মাটি আমরা বিজেপি’কে ছাড়ব না। মালদহের মানুষের বিশ্বাস রয়েছে দিদির উপরে।’’ মমতাকে তিনি যে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান, তা-ও জানিয়েছেন মৌসম। আর মমতা বলেছেন, ‘‘মৌসমকে ধন্যবাদ। আমরা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে লড়াই করব। বিজেপি যাক, এটাই চাই। কে আসবে না আসবে, ভোটের পরে ঠিক হবে।’’
ব্রিগেডে মমতার সভায় স্বয়ং সনিয়া ও রাহুল গাঁধী বার্তা এবং প্রতিনিধি পাঠানোর পরেও এ ভাবে দলের সাংসদ ও মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রীকে তৃণমূল দলে টানায় তাতে বিজেপিরই সুবিধা হবে বলে মনে করছে কংগ্রেস। এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈয়ের বক্তব্য, ‘‘মৌসমের চলে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূল মালদহে কংগ্রেসকে দুর্বল করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে। তৃণমূল বিজেপির ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করছে!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘এই দলবদলে রাজনৈতিক ভাবে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
শুভেন্দু জানিয়েছেন, কাল, বুধবার মালদহে তৃণমূলের কর্মসূচিতে মৌসম থাকবেন। তাঁকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক করে দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।