গোপন শলায় অ্যান্টি চেম্বার!

কেন অ্যান্টি চেম্বার তৈরির প্রয়োজন হল? অজিতের মুখে কুলপ।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০২:০১
Share:

এই ঘরের পিছনেই তৈরি হবে অ্যান্টি চেম্বার। নিজস্ব চিত্র

এতদিন পরে অ্যান্টি চেম্বার তৈরি হবে অজিত মাইতির। জেলা পরিষদের একটি ঘরেই এই চেম্বার তৈরি হবে। জেলা পরিষদের এক সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে অর্থ-উন্নয়ন-পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। অজিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি। তিনি আবার তৃণমূলেরও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি। জেলা তৃণমূলের স্থায়ী কার্যালয় নেই। ফলে, দলের কাজকর্ম চালাতে সমস্যা হয়। অনেকে মনে করছেন, ওই অ্যান্টি চেম্বার তৈরি হলে সে ক্ষেত্রে কিছুটা সুরাহা হবে। প্রয়োজনে দলের কোনও নেতাকে জেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে ‘গোপন’ বৈঠকও করতে পারবেন অজিত।

Advertisement

কেন অ্যান্টি চেম্বার তৈরির প্রয়োজন হল? অজিতের মুখে কুলপ। তাঁর সাফাই, ‘‘এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। তাছাড়া আমি বিষয়টি ভালভাবে এখনও জানিও না!’’ জেলা পরিষদের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘জেলা সহ-সভাধিপতির কোনও অ্যান্টি চেম্বার ছিল না। অথচ, অনেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পদটি গুরুত্বপূর্ণও। সবদিক দেখেই জেলা সহ-সভাধিপতির অ্যান্টি চেম্বার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে এই অ্যান্টি চেম্বার তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। খরচ কিছুটা বাড়তেও পারে। জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকেই প্রয়োজনীয় অর্থ জোগানো হবে।

জেলা পরিষদে সভাধিপতির ঠিক পাশেই রয়েছে সহ-সভাধিপতির দফতর। সভাধিপতির অ্যান্টি চেম্বার রয়েছে। অনেক আগে থেকেই। কিন্তু সহ- সভাধিপতির অ্যান্টি চেম্বার নেই। সাধারণত, অফিসরুমের পিছনেই অ্যান্টি চেম্বার হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সহ-সভাধিপতির অফিসরুমের পিছনে একটি গোডাউন রয়েছে। গোডাউনটি পরিষ্কার করা হয়েছে। এই গোডাউনটিই অ্যান্টি চেম্বার করা হবে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, কাজ শুরু এবং শেষের মধ্যবর্তী সময়ে সহ- সভাধিপতির অফিসরুম অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। সেই বিকল্প ঘরে খোঁজ চলছে।

Advertisement

জেলা পরিষদে নতুন করে কয়েকটি এসি মেশিনও বসানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের ঘরে নতুন এসি মেশিন বসানো হবে। খরচ হতে পারে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ঘরে নতুন এসি মেশিন বসানো হবে। এ ক্ষেত্রেও খরচ হতে পারে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষের ঘরে নতুন এসি মেশিন বসাতে খরচ হতে পারে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষের রুমটি বড়। তাই এখানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসি মেশিন বসানো হবে।

লোকসভার পরে অনেক জেলায় দলের জেলা সভাপতি পদে রদবদল করেছেন মমতা। এ জেলায় অবশ্য তা করেননি তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, জেলায় অজিতের নেতৃত্বেই দল চলবে। ২০২১ সালে বিধানসভার ভোট। ব্লক ঘুরে ঘুরে দলকে ‘ঘুরে দাঁড় করানো’র পথ খুঁজতে শুরু করেছেন অজিত।

পথ খুঁজতে গেলে অনেক সময় প্রয়োজন হয় গোপন শলাপরামর্শের। তাই কি এই অ্যান্টি চেম্বার! জল্পনা শাসক দলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন