স্কুলের রড কর্মাধ্যক্ষের কাছে! শুরু তদন্ত

বুধবারের ওই ঘটনায় গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের নির্মাণকাজের জন্য আসা রড মাঝপথে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জুড়ে গেল শাসকদলও। সবংয়ের ওই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির। প্রশাসনের কাছে আসা অভিযোগ অনুযায়ী, ওই রড না কি অমূল্যের ‘হেফাজতে’ রয়েছে। তিনিই মাঝপথে ওই রড নামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

বুধবারের ওই ঘটনায় গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রডের ওজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, সবংয়ের বিডিও-র থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। সবংয়ের বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মানছেন, ‘‘অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’

সবং হাইস্কুলের নির্মাণকাজের জন্য বুধবার লোহার রড আসছিল। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমূল্য মাইতি। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ১৫ টন রড স্কুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু স্কুলে এসেছে ১৩ টন রড। অভিযোগ, ২ টন রড মাঝপথে সবংয়ের তেমাথানির কাছে এক জায়গায় নামানো হয়েছে।

Advertisement

ওই ২ টন রড যে তাঁর ‘হেফাজতে’ রয়েছে তা মানছেন অমূল্যও। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি। বছর কয়েক আগে ওই স্কুলে কিছু রড কেনা হয়েছিল। ২ টন রডের টাকা আমি দিয়েছিলাম। স্কুলের কাছ থেকে আমি ওই পরিমাণ রড পেতাম। সেটাই নিয়েছি।’’ অমূল্য জানাচ্ছেন, ‘‘ওই রড আমার বাড়িতে যায়নি। আমি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ওই সংস্থার নির্মাণ কাজের জন্য ওই রড লাগবে।’’

বিকেলে আবার তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই ২টন রড আমি স্কুলে দিয়ে দেব। আমি কোনও ঝামেলা চাই না।’’

সবং হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অদিতিরঞ্জন রায় অবশ্য অমূল্যের সুরেই বলছেন, ‘‘আমরা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি, স্কুলের কাজের জন্য লোহার রড আসছিল। সেখান থেকে কিছু রড অমূল্য মাইতি কিনে নিয়েছেন।’’ অমূল্য স্কুলের কাছে টাকা পেতেন বলেও স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। এ দিন স্কুলের সামনে পথ অবরোধও হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন