খড়্গপুর আইআইটি। —প্রতীকী চিত্র।
মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আইআইটি খড়্গপুরের দুই হস্টেল থেকে দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার ঘটনা শোরগোল ফেলেছে। আত্মহত্যা না খুন, তা তদন্ত করে দেখছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা মৃত দুই পড়ুয়া হস্টেল রুমে গিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য আগেই পাঠিয়েছিল পুলিশ। তদন্তকারী সূত্রের খবর, ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণে ধোঁয়াশা কাটতে পারে।
গত মাসে চার দিনের ব্যবধানে আইআইটি খড়্গপুরের দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। গত ১৮ জুলাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ঋতম মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর নিজের হস্টেল ঘরে। আইআইটি খড়্গপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ হলে থাকতেন ঋতম।
এই ঘটনার চার দিন পর ২২ জুলাই চন্দ্রদীপ পওয়ার নামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের দেহ মেলে তাঁর ঘরে। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার বাসিন্দা চন্দ্রদীপ থাকতেন নেহরু হলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, রাতে খাওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছিলেন চন্দ্রদীপ। সেই সময় কোনও কারণে শ্বাসনালীতে ওষুধ আটকে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তাঁকে আইআইটি খড়গপুরের বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা শুরু করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার পরেই হস্টেলের ওই দু’টি ঘর সিল করে দিয়েছিল পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার সেই ঘরগুলি ঘুরে দেখল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের প্রতিনিধি দল। সেই দলের সঙ্গে ছিলেন তদন্তকারী অফিসার এবং আইআইটি কর্তৃপক্ষ।