আলোয়-আলোয়: ইদের সাজে মসজিদ। নিজস্ব চিত্র
কেউ ব্যস্ত চোখে সুরমা টানতে, কেউ ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়। কারও চোখ দোকানে পছন্দের রঙিন চুড়ি খুঁজতে ব্যস্ত। ইদের আগে রবিবার সর্বত্রই চোখে পড়ল প্রস্তুতির এমন ছবি।
ইদের জন্য আলোকমালায় সাজানো হয়েছে হলদিয়ার বিভিন্ন মসজিদ। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বর্ণময় তোরণ। সিমাইয়ের দোকানে চোখে পড়ার মতো ভিড়। সুতাহাটা, ডিঘাসিপুর, দুর্গাচক, রামনগর, নন্দীগ্রামের গড় চক্রবেড়িয়া, কাঞ্চনপুর, মহম্মদপুর, মহিষাদলের নামালখ্যা প্রভৃতি এলাকায় উৎসবের ছবি ধরা পড়েছে। কুশল বিনিময়, প্রতিবেশী-বন্ধুকে দাওয়াত। গরিব-দুঃখী মানুষকে সাহায্য এই উৎসবের বৈশিষ্ট্য হলেও কোনও সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ হয় না বলে আক্ষেপও রয়েছে অনেকের।
উৎসব উপলক্ষে কর্মসূত্রে দূরদেশে থাকা অনেকেই ঘরে ফিরেছেন। ঘরের মানুষকে কাছে পেয়ে ইদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে বহু পরিবারে। একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মী আফতাব আলম বলেন, ‘‘বাবা মারা গিয়েছেন। মা আর বোন এই সময় পথ চেয়ে বসে থাকে। তাই যেখানেই থাকি না কেন, বাড়ি ফিরতেই হয়।’’ জানালেন, ছোটবেলায় ইদের দিন বাবা বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করতেন। তিনি তা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। তা ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া, চুটিয়ে আড্ডা চলে।
বাবা নেই। মাও মারা গিয়েছেন অনেকদিন। পরিবার বলতে কেউ নেই হলদিয়ায়। তবু প্রতি বছর নিয়ম করে ইদে বাড়ি ফেরেন রেজাউল করিম। বললেন, ‘‘ভেলোরে থাকি। কিন্তু এই সময় বাড়ি আসি। শুধু বাবা-মায়ের কবরের কাছে দু’দণ্ড বসবো বলে।’’
উৎসবের সাজগোজে পিছিয়ে নেই মহিলারাও। বাছাই করা রঙিন কাচের চুড়ি থেকে হাতে পরার মেহেন্দি সবই মজুত সেজে উঠতে। পোশাক বাছাইয়ের কাজও সারা। কোর্মা, পোলাও রান্নার প্রস্তুতিও চলছে একইসঙ্গে। এ ভাবেই খুশির ইদে মিলতে চলছে সবাই।