কানহাইয়া কুমার। ফাইল চিত্র
কানহাইয়া বরণে প্রস্তুত শহর মেদিনীপুর। শহরের বিভিন্ন এলাকা লাল পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে, তৈরি হয়েছে তোরণ। আজ, সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরে সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠনের সভায় আসছেন বাম যুব নেতা কানহাইয়া কুমার। স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সভার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সারা হয়েছে। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে সংবর্ধনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি, মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “ইতিমধ্যে সর্বস্তরে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। আমরা নিশ্চিত, মেদিনীপুরের এই সভা ঐতিহাসিক হবে।’’
কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাও রয়েছে। এর আগে কানহাইয়া যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপির যুব সংগঠন। মেদিনীপুরেও বিজেপির যুব মোর্চা বিক্ষোভ দেখাতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি যুব মোর্চার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অরূপ দাস। অরূপের কৌশলী মন্তব্য, “দেশবিরোধী স্লোগান যারা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের স্লোগান থাকবেই।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বছর খানেক আগে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ‘দেশদ্রোহী’ বিতর্কে নাম জড়ায় কানহাইয়ার। তবে পুলিশ তদন্তে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে তেমন কিছু পায়নি। তবে ওই ঘটনার পর থেকে বামপন্থী ছাত্র-যুবদের মধ্যে কানহাইয়ার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ন’মাস পরে ফের এ রাজ্যে আসছেন কানহাইয়া। ‘ভারত বাঁচাও, ভারত বদলাও’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’-এর ডাক দিয়েছে সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠন। কন্যাকুমারী থেকে হোসেনিওয়ালা পর্যন্ত এই মার্চ হবে। গত ১৫ জুলাই কর্মসূচি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শেষ হবে ১২ সেপ্টেম্বর। এ রাজ্যে কর্মসূচির সূচনা হবে আজ, সোমবার। সমাপ্তি হবে ২৪ অগস্ট। ওই সূচনা অনুষ্ঠানেই হাজির থাকবেন কানহাইয়া।
সিপিআই সূত্রে খবর, ওড়িশা সীমানা পেরিয়ে সোনাকোনিয়া দিয়ে ‘লং মার্চ’ পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকবে। তারপর দাঁতন, বেলদা, খড়্গপুর হয়ে মেদিনীপুরে পৌঁছবে। খড়্গপুরের চৌরঙ্গিতে কানহাইয়া ‘লং মার্চ’-এ যোগ দেবেন।