Kharagpur Sub Division Hospital

মারামারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে, জখম

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে হাসপাতালে জখম অবস্থায় চার জন আসে। হাসপাতাল সংলগ্ন শহরের ঝুলির বাসিন্দা ওই চার জন পারিবারিক গোলমালের জেরে জখম হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০০:১৩
Share:

মারামারির পরে। নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিবাদের জের এসে পৌঁছল হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হল জরুরি বিভাগের সরঞ্জামও। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল।

Advertisement

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে হাসপাতালে জখম অবস্থায় চার জন আসে। হাসপাতাল সংলগ্ন শহরের ঝুলির বাসিন্দা ওই চার জন পারিবারিক গোলমালের জেরে জখম হয়েছিল। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানেও নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় ওই দু’পক্ষ। ছুরি, কাচি, স্যালাইন স্ট্যান্ড, নিডল হোল্ডার, ড্রেসিং ট্রে নিয়ে একে-অপরের উপরে চড়াও হয়। চিকিৎসক ও নার্সরা ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে আশ্রয় নেন। পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জরুরি বিভাগে হওয়া সংঘর্ষে দু’জন নতুন করে জখম হয়। তাদের মধ্যে রবি সামন্ত নামে একজনকে চিকিৎসার জন্য ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ভাই শিবা মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি। অন্যদিকে টিঙ্কু শঙ্কর, তাঁর ভাই রিঙ্কু শঙ্কর, গাবরু শঙ্কর ও বাবা শিবপ্রকাশ শঙ্করকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। এই চার জনই প্রথমে চিকিৎসার জন্য এসেছিল।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষই নিজেদের মধ্যে মারামারি করে হাসপাতালে এসেছিল। তার পরে জরুরি বিভাগে ওঁরা ফের মারামারি করে। তখন আমাদের বেশ কিছু সরঞ্জামও ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশে খবর দিয়েছি।’’

ঝুলি এলাকার বাসিন্দা টিঙ্কু শঙ্করের সঙ্গে বছর আটেক আগে এলাকারই রবি সামন্তের বোন নিতুর বিয়ে হয়। তাদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত বলে নিতুর অভিযোগ। এই নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল। মাস তিনেক আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন নিতু। এই নিয়ে শুক্রবার রাতে রবির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় টিঙ্কুর। সেখান থেকেই মারামারির শুরু। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে আগে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন