ঢাকে-কাঠি: মঙ্গলবার দুপুরে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লেখা শুরু করে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘাটালে।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা দেব। তার জন্য কোমর কষে প্রচারে নামতে তৈরি হচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। কিন্তু ওই লোকসভা কেন্দ্রের পাঁশকুড়া বিধানসভা এলাকার বহু বাসিন্দার দাবি, গত বারের ভোটের পরে তাঁদের এলাকায় তেমন দেখা মেলেনি সাংসদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রের অভিনেতা তথা সাংসদ এসেছেন ঘাটাল, দাসপুর এলাকায়। আর সবচেয়ে কম এসেছেন পাঁশকুড়ায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকার মধ্যে রয়েছে পাঁশকুড়া ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাঁশকুড়া পুর এলাকা। পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁশকুড়া পুর এলাকায় একবার বন্যার সময় এবং একবার প্রতিবন্ধীদের একটি স্কুলে সাংসদ এসেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট প্রচারের পর পাঁশকুড়া ব্লকের কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাংসদের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। গত বছর পুজোর উদ্বোধনে অবশ্য পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে এসেছিলেন দেব।
পাঁশকুড়া পুর এলাকার এক ব্যবসায়ী মানস গিরি বলেন, ‘‘দু-একটি অনুষ্ঠানে দেব পাঁশকুড়ায় এসেছিলেন। তবে উন্নয়নমূলক কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখিনি। সাংসদ তহবিলের কোন কাজও এলাকায় নজরে পড়েনি। আমরা এমন সাংসদ চাই, যিনি এলাকায় থেকে কাজ করবেন।’’ শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সিদ্ধিনাথ মহাবিদ্যালয়ের অন্যতম সদস্য অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘বছর দুয়েক আগে কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। সম্প্ৰতি সাংসদকে কলেজের অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাঁর প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু ওঁকে আনতে পারিনি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বাসিন্দারা যা-ই বলুক, পাঁশকুড়ার তৃণমূলের ব্লক কার্যকর সভাপতি কুরবান শা অবশ্য বলেছেন, ‘‘সাংসদ এলাকায় কতদিন এলেন সেটা বড় বিষয় নয়। সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তের চেয়ে সাংসদ দেব অনেক বেশি উন্নয়ন করেছেন। পাঁশকুড়া ব্লকে সাংসদ তহবিলের অনেক কাজ এখনও চলেছে।’’