Madan Mitra

রাজ্যপাল তো সবচেয়ে বড় সংবিধান বিরোধী, কটাক্ষ মদনের

এত আয়োজন করেও কি তা হলে বিজেপি ভোটবাক্সে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না? অন্য দিকে দুই মেদিনীপুর জেলা কি মাথা ব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূলের? স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মদন উত্তর দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ২২:১৭
Share:

পুজো দিচ্ছেন মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র

পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের বাড়বসন্তপুর এলাকায় মেলা উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। ‘মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান ভাঙছেন’, বিরোধীদের তোলা এই প্রশ্নের উত্তরে মদন মিত্র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান যদি ভাঙেন তা হলে বিজেপি ক্ষমতা প্রয়োগ করুক। সবার আগে রাজ্যপালকে তাড়ানো উচিত। উনি সব থেকে বড় সংবিধান বিরোধী।’’

Advertisement

বাড়বসন্তপুর যুবক সংঘ আয়োজিত মেলায় যোগ দিতে এসে হনুমানজির মন্দিরে যজ্ঞ কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন মিত্র। করোনা থেকে বিশ্বকে মুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত ওই যজ্ঞে হাজির হন তিনি। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনের ফল কী হবে, তা আজকের এই বসন্তপুরের মেলায় জনগণ বলে দিচ্ছে।’’

এত আয়োজন করেও কি তা হলে বিজেপি ভোটবাক্সে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না? অন্য দিকে দুই মেদিনীপুর জেলা কি মাথা ব্যথা কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূলের? উত্তরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মদন বলেন, ‘‘আমার বাড়ি ভবানীপুর, প্রথম বিধায়ক হয়েছি বিষ্ণুপুর থেকে আর আজ আছি বসন্তপুর। কেউ এটাকে ‘মির্জাপুর’ বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা এটা মেদিনীপুরই রাখব।’’

Advertisement

শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে মদন মিত্র ঠাট্টার সুরে বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী আমার ছোট ভাইয়েরর মতো। বাচ্চা ছেলে, কী বলতে কী বলে ফেলেছে। বলুক না।’’ তাঁকে দলে কোণঠাসা করা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু, সেই প্রসঙ্গে মদনের সাফ জবাব, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে, মমতা নিজে একজন বিধায়ক, অভিষেক একজন সাংসদ। ব্যাস। আর অধিকারী পরিবারের ১০ জনের মধ্যে ৬ না ৭ জন সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী। এর পরে কে কোণঠাসা হলেন?’’

আরও পড়ুন: তেমাথানিতে পাল্টা তৃণমূলের সভা, নাম না শুভেন্দুকে ‘খোকাবাবু’ তকমা মানসের

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার আগে তৃণমূলের পতাকা-পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ নন্দীগ্রামে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন