ফেরিঘাটে শেখ ইউনিস। নিজস্ব চিত্র
ভাগাড়-কাণ্ডের রেশ গড়াল হলদিয়া বন্দর এবং শিল্পাঞ্চল এলাকায়। নদী পথে মরা মাংস পাচার করে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। শনিবার সকালে ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় সুতাহাটার কুঁকড়াহাটিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ ইউনিস। তাঁর বাড়ি হলদিয়ার হাদিয়া এলাকায়। পুলিশের দাবি, ইউনিসের কাছ থেকে বস্তা ভর্তি প্রচুর পরিমাণে মাংসের টুকরো এবং মুরগির পা আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক থেকে একটি লঞ্চে কুঁকড়াহাটি ফেরিঘাটে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার জানিয়েছেন, ইউনিসের মাথায় থাকা বস্তা থেকে নোংরা জল বরা হচ্ছিল। এতেই সন্দেহ হয় তাঁদের। অভিযোগ, বস্তা খুলতে বলা হলেও ইউনিস কিছুতেই তা খুলতে চাইছিলেন না। এরপর অন্য সিভিক ভলান্টিয়ার এবং স্থানীয়দের চাপে পড়ে বস্তা খুলতে বাধ্য হন ইউনিস। বস্তা থেকে কয়েক কিলোগ্রাম মাংসের টুকরো এবং মুরগির পা পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সব পচা মাংস হলদিয়া শহর ও সংলগ্ন এলাকায় দোকানে পাচার করা হত। খবর পেয়ে ফেরিঘাটে পৌছয় সুতাহাটা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ইউনিসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরেও তাঁর কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এর পরেই বিকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যপারে হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মাংস ও মুরগির পা উদ্ধার হয়েছে। তবে কোথা থেকে সেগুলি আনা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাংসগুলি পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।’’ ইউনিসকে জেরা করে মাংস পাচার নিয়ে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলেও পুলিশের দাবি।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে হলদিয়া পুরসভা। এ দিন পুরসভায় একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে পুর এলাকার দোকানগুলিতে নজরদারি চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান বলেন, ‘‘সোমবার থেকে শহর জুড়ে অভিযান শুরু করা হবে। আগামী ১৫ দিন ধরে সমস্ত রেস্তরাঁ ও মাংসের দোকান পরিদর্শন করা হবে।’’