ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল

ফের পুরনো ভবনেই সরল মেডিসিন বিভাগ

দিনকয়েক আগেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের ভবন থেকে নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ভবনে সরিয়ে দেওয়া হয় মেডিসিন (মহিলা) বিভাগ। সরানো হয় রোগীদের। মাস যেতে না যেতেই ফের মেডিসিন বিভাগ মহকুমা হাসপাতাল ভবনেই সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩২
Share:

দিনকয়েক আগেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের ভবন থেকে নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ভবনে সরিয়ে দেওয়া হয় মেডিসিন (মহিলা) বিভাগ। সরানো হয় রোগীদের। মাস যেতে না যেতেই ফের মেডিসিন বিভাগ মহকুমা হাসপাতাল ভবনেই সরাতে উদ্যোগী হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফের রোগীদের ফেরানো হচ্ছে পুরনো জায়গায়। বাড়ছে দুর্ভোগ। রোগীর পরিজনেদের প্রশ্ন, মেডিসিন বিভাগ কোথায় থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত আগে থেকে নিলে ভোগান্তি

Advertisement

এড়ানো যেত।

কেন এই সিদ্ধান্ত? সদুত্তর এড়িয়ে হাসপাতাল সুপার কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রোগীদের স্বার্থেই এটা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘পুরনো হাসপাতাল থেকে সমস্ত অন্তর্বিভাগ নতুন ভবনে চলে যাবে। পুরনো হাসপাতালে বহু শয্যাও পাওয়া যাবে। এখানে এইচডিইউ বিভাগও থাকবে।” কুণালবাবু আরও বলেন, “ঘাটাল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে রোগীর চাপ বেশি। সমস্ত রোগী সময় মতো শয্যা পান না। এ বার সেই সমস্যা আর থাকবে না। ভর্তি হলেই রোগীরা শয্যা পেয়ে যাবেন।”

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে শিশু ও মেডিসিন (মহিলা) বিভাগ নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। গত ২৩ অগস্ট স্বাস্থ্যভবনে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল হাসপাতালের সুপারও। পুরনো হাসপাতাল থেকে সব অন্তর্বিভাগ নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। ফলে পুরনো ভবনে অনেক জায়গা পাওয়া যাবে। বাড়ানো যাবে শয্যা সংখ্যাও। ফলে ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্যই ফের মেডিসিন বিভাগ পুরনো ভবনে সরানো হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন হাসপাতালে শল্য চিকিৎসা, প্যাথোলজি, চোখ, ইএনটি, অর্থোপেডিক-সহ সমস্ত বিভাগ চালু হবে। নতুন সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনেই রোগী ভর্তি করা হবে। নতুন ভবনে চালু হবে ‘সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট’ (এসএনসিইউ)ও। পুজোর আগেই ডিজিটাল এক্সরে, পিপিপি মডেলে সিটি স্ক্যান চালু করার চেষ্টাও হচ্ছে।

যদিও বিরোধীদের প্রশ্ন, ঝাঁ চকচকে ভবন আর বাতানুকূল ব্যবস্থা থাকলেই তো আর হাসপাতালে ভাল পরিষেবা দেওয়া যাবে না। তার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক কবে আসবেন। হাসপাতাল সুপার কুণালবাবু বলেন, “চিকিৎসক নিয়েই রোগীদের এত উদ্বেগের কী আছে। এটা তো স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়। ইতিমধ্যেই নতুন চারজন চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছেন। কিছু দিনের মধ্যেই চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্যভবন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement