প্রতীকী ছবি।
ত্রাণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের লোকেদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার অভিযোগ করলেন বাম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের দাউদপুরে ওই ঘটনায় যদিও বিধায়ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি।
বাম সূত্রের খবর, এ দিন পাঁশকুড়া পূর্বের বাম বিধায়ক ইব্রাহিম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করতে নন্দীগ্রামে যান। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া, সামসাবাদ হয়ে দাউদপুর স্কুল এলাকায় তৃণমূলের মদতপুষ্ট একদল দুষ্কৃতী বাইকে করে তাঁকে হুমকি দেয়। নন্দীগ্রামে এসে ত্রাণ বিলি করলে দেখে নেওয়ার হুমকির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ত্রাণ নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বেরিয়ে আসেন বিধায়ক ও কর্মী সদস্যরা। ইব্রাহিম বলেন, ‘‘সরকার দুর্গতেদর পাশে দাঁড়াতে পারছে না। অন্য কেউ সাহায্য করতে গেলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’
থানায় অভিযোগ জানালেন না কেন? বিধায়কের জবাব, ‘‘থানায় জানিয়ে কোনও লাভ নেই। পুলিশ কোনও কিছুই করবে না। কারণ পুলিশ শাসক দলের দাসে পরিণত হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেও ত্রাণ বিতরণ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল নন্দীগ্রামে। অপর্যাপ্ত ত্রিপল এবং ত্রাণ নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামবাসী। এছাড়া, সোমবারই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। আবার পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর তরফে শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা ইদের উপহার দিতে গিয়ে এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়েছিলেন।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাদ পাল অবশ্য ত্রাণ বিলিতে বাম বিধায়ককে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালের পরে ইব্রাহিম আলি নন্দীগ্রামে আসেননি। এতদিন পরে কেন এসেছেন, জানতে চেয়ে বাম সমর্থকরাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’