Tamluk

সজাগ পুলিশ, এক ফোনেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে ত্রাণ

ইয়াসের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত মানুষদের সাহায্যে তাই হাজির হচ্ছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ২৩:২২
Share:

নিজস্ব চিত্র

একটি মাত্র ফোন কল, আর তাতেই সটান বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ত্রাণ। তা-ও আবার যে সে নয়, খোদ পুলিশের বড়বাবুরা গাড়ি করে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। এমনই চিত্র ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরে।

Advertisement

ইয়াসের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত মানুষদের সাহায্যে তাই হাজির হচ্ছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে জেলা পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ঝুলিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় খাবার সহ অন্য কিছুর অভাব হলেই ফোন করার জন্য।

সোমবার এমনই একটি ফোন আসে হেল্পলাইন নম্বরে। তমলুক থানার ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রামেড় এলাকা থেকে এক অসহায় মহিলা ফোন করে জানান, জলের তলায় চলে গিয়েছে তাঁর মাটির বাড়ি। দুই মেয়েকে নিয়ে চূড়ান্ত আতান্তরে পড়েছেন তিনি। এক পরিচিতের বাড়িতে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও সবার মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। ওই এলাকায় একই পরিস্থিতিতে আরও কয়েকটি পরিবার আছে বলেও মহিলা জানান। হেল্পলাইন নম্বর থেকে তমলুক থানায় খবর আসে। এরপরেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এডিপিও অতীশ বিশ্বাস, তমলুক থানার আইসি সমিত ভট্টাচার্য-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা ওই গ্রামে যান। অসহায় মহিলার মেয়ের হাতে ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে এলাকায় ঘুরে আরও বেশ কয়েকটি অসহায় পরিবারকে ত্রাণের প্যাকেট দেওয়া হয়।

Advertisement

এসডিপিও গ্রামবাসীদের জানিয়ে দেন, বন্যার জেরে কারও বাড়িতে যদি খাদ্যের অভাব দেখা দেয় তাহলে দ্রুত হেল্পলাইন নম্বরে যেন যোগাযোগ করা হয়। জেলা পুলিশ সমস্ত থানা এলাকাতেই ত্রাণ পৌঁছে দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন