প্রতীকী ছবি।
করোনা-যুদ্ধে যে চিকিৎসকদের গুরুত্ব অপরসীম, তাঁদের বিরুদ্ধেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন সদ্যোজাতের পরিবার। চিকিৎসার গাফিলতিতেই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে— এই অভিযোগে তারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বুধবার বিক্ষোভও দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৌসুমী সামন্ত নামে কোলাঘাটের সুলোনী গ্রামের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাট পাইকপাড়ি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন তাঁর পরিজন। স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রের খবর, রাত পৌনে ২ টো নাগাদ মৌসুমী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ ওই সদ্যোজাত মারা যায়।
মৌসুমীর পরিবারের দাবি, কোনও চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়া শুধুমাত্র নার্সরা সন্তান প্রসব করিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই শিশু জন্মানোর পর তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে কোনও চিকিৎসকই ওই শিশুকে দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ। মৃত সদ্যোজাতের দাদু কালীপদ সামন্ত বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুপস্থিতেই সন্তান প্রসব করানো হল। সন্তান জন্মানোর পর তার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন চিকিৎসক, নার্স কেউই তাকে দেখেনি। ওঁদের গাফিলতির জন্যই শিশুটি মারা গিয়েছে।’’
সদ্যোজাতের মৃত্যু খবর পেয়ে এ দিন হাসপাতালের সামনে জড়ো হন প্রসূতির আত্মীয়রা। শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভ সামাল দিতে হাসপাতালে ছুটে আসেন কোলাঘাট বিট হাউস থানার পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
মৃত শিশুর পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে তাঁদের তোলা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শিব শঙ্কর খান বলেন, ‘‘চিকিৎসকের উপস্থিতিতেই প্রসব করানো হয়েছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিশুটি সুস্থ ছিল। সম্ভবত শিশুটিকে স্তন্যপান করানোর সময় গলায় দুধ আটকে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সে মারা গিয়ছে।’’