ভাল মানুষ হও, বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাহরদা কালীপদ বিদ্যাপীঠ ২০১৫ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছে। ২০১৬ সালে স্কুল পেয়েছে শিশুমিত্র পুরস্কারও। স্কুলে বর্তমানে ১৮৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৫৫৬ জন আবাসিক পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:০৮
Share:

পিংলার সাহরদা কালীপদ বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিকে ভাল ফল করেও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়াদের পিছিয়ে পড়ার কারণ জানার নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার পিংলার সাহরদা কালীপদ বিদ্যাপীঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পার্থবাবু বলেন, ‘‘মাধ্যমিকে যাঁরা ভাল ফল করছে দেখা যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁদের অনেকেই সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারছে না। কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা আমাদের দেখতে হবে।”

Advertisement

সম্প্রতি যামিনী রায় পুরস্কার পেয়েছে সাহরদা কালীপদ বিদ্যাপীঠ। পুরস্কার প্রাপ্তি উপলক্ষে শনিবার স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিত সামন্ত প্রমুখ। সাহরদা স্কুলের পরিকাঠামোর প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের পরিকাঠামো খুব ভাল। দেখতে হবে পড়াশোনা কেমন হচ্ছে। আপাতত স্কুলের গ্রন্থাগার ও গবেষণাগারের জন্য যে টাকা চাওয়া হয়েছে আমার দফতর তা অনুমোদন করে দেবে।”

স্কুলের ছাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়ার কথাও বলেন পার্থবাবু। স্কুলের পুকুরের গার্ডওয়ালের টাকার জোগানের জন্য সচিন তেন্ডুলকরের উদাহরণ টেনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পুকুরের গার্ডওয়াল তৈরি জন্য দেবকে বলব তিনি যেন অর্থ বরাদ্দ করেন। মুম্বই থেকে সচিন তেন্ডুলকর যদি টাকা দিতে পারেন, দেব দেবেন না কেন!”

Advertisement

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাহরদা কালীপদ বিদ্যাপীঠ ২০১৫ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছে। ২০১৬ সালে স্কুল পেয়েছে শিশুমিত্র পুরস্কারও। স্কুলে বর্তমানে ১৮৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৫৫৬ জন আবাসিক পড়ুয়া। স্কুলের পরিকাঠামো, পড়াশোনার মান, সংস্কৃতি চর্চার মতো নানা বিষয়ের ভিত্তিতে যামিনী রায় পুরস্কার দেয় রাজ্য সরকার। গত জুন মাসে এই পুরস্কারের প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন জানান সাহরদা স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে পরিদর্শনের পর রাজ্যের তিনটি স্কুল এই পুরস্কার পায়। তার মধ্যে রয়েছে পিংলার এই স্কুলও।

পড়ুয়াদের চরিত্র গঠনে জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পার্থবাবু বলেন, “পড়াশোনার পাশাপাশি চরিত্রগঠনে জোর দিতে হবে। এই বিষয়টি এ বার আমরা পাঠ্যসূচিতে আনছি।” শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা, “শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে। ভাল মানুষ হতে হবে। আর ছাত্রদের বলব, মেয়েদের বোনের মতো দেখতে হবে। বড় দাদার মতো পাশে থাকতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন