dress

ভোটের আগেই স্কুলের পোশাক

এ বার নবম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও দেওয়া হবে। কারণ, গত বছর পোশাক দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-আবহে গত বছর পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক দেওয়া হয়নি। এ বার অবশ্য দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পোশাক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্কুলগুলির কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশও পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চেই বিধানসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতেই পোশাক দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

Advertisement

সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় মানছেন, ‘‘আগামী মাসে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাক দেওয়া হবে। এ জন্য যে পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করে সমগ্র শিক্ষা মিশনই। প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্য থেকে এ ব্যাপারে জেলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআই) কাছে। এসআই-রাই চক্রস্তরে (সার্কল) প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন।

পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রাপ্তির কথা মানছে স্কুলগুলিও। শালবনির জয়পুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘গাইডলাইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।’’ একই কথা জানাচ্ছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের পলাশি প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্রও। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলের তরফে যে পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারিতে স্কুল থেকে মিড ডে মিলের সামগ্রী বিলির সময়ই স্কুলের পোশাক দেওয়া হবে। মিড ডে মিলের সামগ্রী আনতে পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হয় না। তাদের অভিভাবকেরা আসেন। এ ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের হাতেই স্কুলের পোশাক তুলে দেওয়া হবে। পোশাক নেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের আর স্কুলে আসতে হবে না। জেলার এক শিক্ষা আধিকারিক বলেন, ‘‘স্কুল খোলা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই স্কুলের পোশাক অভিভাবকদের হাতে দেওয়া হবে বলেই ঠিক হয়েছে।’’

Advertisement

শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়া হয়। এ বার নবম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও দেওয়া হবে। কারণ, গত বছর পোশাক দেওয়া হয়নি। গত বছর যারা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত, তারা এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে। এ বারও স্বনির্ভর দলের মাধ্যমেই স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, জেলায় শিশু শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ। প্রত্যেককে দু’সেট করে পোশাক দেওয়া হবে। স্কুলের দু’সেট পোশাক তৈরির জন্য পড়ুয়া পিছু ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে ব্যয় হবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি মাসের মধ্যেই টাকা পৌঁছবে স্কুলগুলিতে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিলের সামগ্রী নিতে যখন স্কুলে আসবেন অভিভাবকেরা, তখন তাঁদের কাছ থেকে পড়ুয়াদের পোশাকের মাপ জেনে নিতে হবে। ১৩ জানুয়ারির মধ্যে মাপ জেনে নেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। ১৮ জানুয়ারির মধ্যে পোশাক সরবরাহকারী স্বনির্ভর দল বাছাই করতে হবে এবং ১৯ জানুয়ারির মধ্যে ওই দলকে বরাত দিতে হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পোশাক দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। জেলার এক শিক্ষা আধিকারিক বলেন, ‘‘পোশাকের মানের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন